নতুন বইয়ের গন্ধ নেয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর সেই বই যদি বাবা-মায়ের হাত ধরে নিয়ে আসা হয় তার আনন্দ অন্য রকম। কিন্তু সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুরা। তাদের হাতে এখনও পৌঁছেনি নতুন বই।

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে অভিভাবকদের কষ্ট লাঘব করেছে সরকার। সুযোগ দিয়েছেন তাদের শিক্ষার। আবার শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে। অথচ শিক্ষা অফিসে একাধিকবার ঘোরাঘুরি করেও মেলেনি নতুন বই। বাধ্য হয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করছে জেলার মহম্মদপুর অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

মহম্মদপুর অটিস্টিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীম আশরাফ শাওন বলেন, আমরা নতুন বইয়ের জন্য শিক্ষা অফিসে কয়েকবার গিয়েছি। থানা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি, অফিসে কথা বলেছি কিন্তু বই দেয়নি।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. রাসেল মোল্যা বলেন, আমরা নতুন বই না পেয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ শুরু করেছি। এখনও বেশ কিছু বই প্রয়োজন।

নতুন বইয়ের কথা শুনতেই প্রতিবন্ধী শিশু এনামুল বলে, আমরা নতুন বই পাবো না? সবাই পাইছে।

অভিভাবকরা জানান, বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পেলে ছেলে মেয়েরা খুব আগ্রহ সহকারে পড়ে। তাদের নতুন বই পাওয়ার আনন্দ দেখলে মনটা ভরে যায়। আগে ছেলে মেয়েদের নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। স্কুলে যাওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকদিন ভালো পড়ালেখা করেছে। চিন্তা ছিল না। নতুন শ্রেণীতে উঠার পর বই না পাওয়ায় চিন্তা হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, বই নেওয়ার জন্য তারা কেউই অফিসে আসেনি। তারা এলে আমরা বই দেব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, শিশুরা নতুন বই পাবে। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১১৮ জন অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষাগ্রহণ করছে। এ বিদ্যালয়ে ২০ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। বিদ্যালয়টি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উপজেলার অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।

জালালুদ্দিন হাক্কানি/এসপি