ভোলায় ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছে ফাইজারের টিকা
প্রথম ধাপে ভোলার ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী পাচ্ছে ফাইজারের টিকা। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তাছাড়া ভোলা সদরের বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. রুমেল ও হাসনাইন টিকা নিতে এসে বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকা নিতে পেরে খুবই খুশি। এখন আর আমাদের মধ্যে করোনার আতঙ্ক থাকবে না।
ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত মুনতাহা ও ভোলা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফারজানা এলমা বলেন, মহামারি করোনার টিকা নিতে পেরে আমরা কিছুটা শঙ্কামুক্ত থাকতে পারব।
বিজ্ঞাপন
জেলা পরিষদ চত্বরে অবিভাবক ফেরদৌসী বেগম বলেন, করোনাকালীন বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারেনি। দেশে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে আসাতে সীমিত পরিসরে পাঠদান শুরু হয়েছে। কিন্তু এতে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ততটা মনোযোগী ছিল না। আমরাও তাদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে ছিলাম। এখন তাদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। এতে আমরা অনেকটাই আতঙ্কমুক্ত থাকতে পারব।
ভোলার সিভিল সার্জন কেএম শফিকুজ্জামান জানান, আজ থেকে ভোলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রথম শুরু হলো ফাইজারের টিকা কার্যক্রম। এর আগে ১৮ বছরের ওপর বয়সীদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে আমরা ১২ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু করেছি। ৮৫ হাজার শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। প্রথম পর্যায়ে এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থী টিকা পাবে।
ইমতিয়াজুর রহমান/এসপি