ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আক্তার হোসেনকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। 

আক্তার হোসেনকে রাজাকারপুত্র উল্লেখ করে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইছহাক সরকার ও সাধারণ সম্পাদক নুুরুল আমিন।

গত ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের কাছে ওই লিখিত আবেদন দেওয়া হয়।

আবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের প্রয়াত দেলোয়ার হোসেন শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয় ভূমিকা ছিল দেলোয়ার হোসেনের। তার নির্দেশে স্থানীয় আড়িয়ল বাজারে সাতজনকে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর দালাল আইনের মামলায় কারাবাসও করেন দেলোয়ার। তার নামে থাকা খাদুরাইল গ্রামের সড়কের নাম বদল করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে করার দাবি জানিয়ে আসছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আবেদনে আরও বলা হয়, রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন আসন্ন ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নানাভাবে তদবির করছেন। এ খবরে এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আক্তার হোসেনকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আক্তার হোসেন বলেন, আমার বাবা রাজাকার ছিলেন না। এগুলো সব মিথ্যা তথ্য। নির্বাচন এলেই তারা এ অভিযোগ আনে। আমার বাবা ইছাপুরা ইউনিয়নের পাঁচবারের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ইছাপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইছহাক সরকার বলেন, গতবারও আক্তারকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজাকারপুত্র হওয়ায় তাকে ইউনিয়নবাসী মেনে নিতে পারেনি। যার কারণে সে পরাজিত হয়। এবার আমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের দলীয় সভায় আলোচনা হবে। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি