পাবনা পৌর নির্বাচনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধানের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর
পাবনা সদর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর কয়েকটি নির্বাচনী অফিস। সংঘর্ষে আহত ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী শরীফ উদ্দিন প্রধানের পক্ষে নির্বাচনী মিছিল ও সভা করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
বিজ্ঞাপন
পরে বিকেলে শহরের রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার মেয়র প্রার্থী আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনির পক্ষে নির্বাচনী পথসমাবেশ করে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সমাবেশ শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পৌর এলাকার শালগাড়িয়া গোডাউনপাড়ায় নৌকা ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর কয়েকটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। পরে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিক্ষোভে পুরো শহরজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্তণে আনে।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন— শালগাড়িয়া মহল্লার আনিছ শেখের ছেলে বকুল শেখ, একই এলাকার আজাদ বিশ্বাসের ছেলে নাজমুল বিশ্বাস, আজমত বিশ্বাসের ছেলে ইজাজুর বিশ্বাস, মানিক হোসেনের ছেলে লতিফ হোসেন, মহিউদ্দিন হোসেনের ছেলে কেটু হোসেন। অন্য পাঁচজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, এমন ঘটনা ঘটবে অশা করিনি। পরিবেশ বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রাকিব হাসনাত/এমএসআর