নওগাঁর বদলগাছীতে ভ্যান চলাচলের রাস্তা সংস্কার নিয়ে ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে। নিহত ভাতিজা জবাইদুল ইসলাম (৪৭) শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিন সকাল ৮টার দিকে মথুরাপুর ইউনিয়নে দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনায় আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে দুর্গাপুর (সন্যাসতলা) গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের বাড়ি একই গ্রামে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জবাইদুল ইসলাম একজন ভ্যানচালক। গ্রামের প্রবেশের ভ্যান চলাচলের রাস্তাটি গ্রামবাসীর সবার। রাস্তাটি একটু ভাঙা ও উঁচুনিচু হওয়ায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে জবাইদুল মাটি দিয়ে সমান করছিলেন। এ সময় আব্দুল খালেক ও তার ছোট ছেলে নবী মন্ডল এসে বাধা দেন। এতে চাচা ও ভাতিজার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে নবী মন্ডল তাকে মারধর করে এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তার গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এতে জবাইদুল ইসলামের জিব বেরিয়ে আসে এবং মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে আব্দুল খালেকের আরেক ছেলে শিক্ষক বেলাল হোসেন তার বাবার হাত ধরে টেনে নিয়ে যান। এ সময় স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় জবাইদুল ইসলামকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, রাস্তা উঁচুনিচু হওয়ায় জবাইদুল ইসলামের ভ্যান আসা-যাওয়া নিয়ে সমস্যা হতো। সকালে রাস্তায় মাটি দেন জবাইদুল। এ সময় তার চাচা এসে বাধা দেন। এতে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে চাচা ও চাচাতো ভাই তাকে মারধর করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় জবাইদুল ইসলামকে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ জয়পুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে। এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

মো. দেলোয়ার হোসেন/এনএ