১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ। এই দেশ স্বাধীন করতে তাদের অবদান অপরিসীম। তাদের আত্মত্যাগ কোনো দিনই ভোলার নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে দেশকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতি সব সময় আন্তরিক। তাদের সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নে তার সরকারের রয়েছে দৃঢ়চেতা মনোভাব।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মনিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সব নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সমন্বিত আয়োজন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।

এ সময় তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন। আজ আমরা তার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। আমরা যখন স্বাধীনতার কথা বলি। এক জয়গায় কম বলে থাকি। কিন্তু কম না বলে মুক্তিযোদ্ধাদের কথা আরও বেশি করে তুলে ধরা উচিত। যারা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্বীকার করেন না, সেই জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। যারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তারাই এগিয়ে যায়।

মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আর বর্তমান ২০২১ সাল অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগামীর দিনে আরও পরিবর্তন আসবে। আমরা খুব শিগগিরই বিশ্বদরবারে উন্নত জাাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। তাই সবাই এক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে বলেন, এই রকম অনুষ্ঠান আরও বেশি করে করা উচিত।

সিলেট জেলা মনিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল কুমার সিংহের সভাপতিত্বে ও বিজয়ের জয়গান উৎসবের সদস্যসচিব সংগ্রাম সিংহ এবং জ্যোতি সিংহার যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নন্দ কিশোর সিংহ, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিত কুমার সিংহ, মনিপুর সমাজকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ বর্মন রায়, গ্রেটার সিলেট আদিবাসী ফোরামের প্রেসিডেন্ট পিডিসিন প্রধান।  
 
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা গবেষক হাসান মোর্শেদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-আজাদ, বাংলার মুখ সিলেটের সদস্যসচিব এনামুল মনীর, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের বিভাগীয় সম্বনয়কারী রজত কান্তি, কমলগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম প্রমুখ।

এনএ