সাতক্ষীরায় ঋণখেলাপির মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে ঋণখেলাপি দুই মেম্বার প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে খেলাপি ঋণের বিষয়টি জানান কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক। ঋণখেলাপি দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী হলেন শোভনালী ইউনিয়নের বসুখালী গ্রামের মৃত অমেদ আলী গাজীর ছেলে ফারুক হোসেন ও আজিবার রহমান। তারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী।
বিজ্ঞাপন
আশাশুনি উপজেলা কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান জানান, অমেদ আলী ব্যাংক থেকে ৬ লাখ ১৪ হাজার ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি মারা গেছেন। ওয়ারিশ সূত্রে ওই ঋণ পরিশোধ করবেন তার ছেলেরা। তবে সেটি তারা পরিশোধ করেননি।
তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ থাকলে নির্বাচনে কেউ অংশ নিতে পারেন না। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আজ পুনরায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঋণের বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কে ভোটে দাঁড়াল সেটি আমাদের বিষয় নয়। আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী ফারুক হোসেন জানান, আমাদের কৃষি ব্যাংকে কোনো ঋণ নেই। বাবার ঋণ নেওয়া ছিল। মা বেঁচে রয়েছেন, ঋণ মা পরিশোধ করবেন। বাবার জমি-জায়গা সব মা দেখাশুনা করেন। আমরা কেন পরিশোধ করব?
রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মনোনয়ন বৈধ ঘোষণার পর কৃষি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের তথ্যটি আমার দৃষ্টিতে আসে। যেহেতু বৈধ ঘোষণা দিয়ে ফেলেছি সেহেতু আমার কিছু করণীয় নেই। সে কারণে জেলা নির্বাচন অফিসে ঘটনাটি জানানোর জন্য কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তির দিন রয়েছে। সেই দিনে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে ওয়ারিশ সূত্রে কেউ ঋণখেলাপি থাকলে তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে চলছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
আকরামুল ইসলাম/এমএসআর