ভাঙ্গায় বর্তমান ও সাবেক মেম্বারের সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান ও সাবেক দুই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের (মেম্বার) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, হামিরদী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার বাবর আলী। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাবর আলীকে ৮৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেম্বার হন একই গ্রামের আলম মোল্লা। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে আলম মোল্লার কাছে বাবর আলীর পরাজয়ের পর। এ ছাড়া নির্বাচনের পর আলম মোল্লার পক্ষের কয়েক ব্যক্তি বাবর আলীর পক্ষে যোগ দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে দুপক্ষ ঢাল, সড়কি, ইট ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

সংঘর্ষে নব নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলম মোল্লার পক্ষের আলমগীর মোল্লা (৩৯), হাসি বেগম (২৮), মজিবর রহমান (৫৩), ইদ্রিস মিয়া (৫৪), সাগর মোল্লা (৩২), শেখ নান্নু (৫২), চুন্নু ফকির (৫৮) ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলীর পক্ষের ফারুক মাতুব্বর (২৫), ইয়াছিন মাতুব্বর (৪০), একলাস মিয়া (৩০), শেখ মওদুদ আহমেদ (২৫), মো. সোহেল (২৬), ইব্রাহীম মাতুব্বর (৩৭), আবু বক্কর (৬৩), লালন মাতুব্বর (২০), সরফুদ্দিন শেখ (৩৬) আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বিপ্লব বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে হামিরদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলম মোল্লা বলেন, গতকাল রাতে আমার মামা আমাকে বিপরীত পক্ষের সঙ্গে মিলিয়ে দেন। তার পরও আজ সকালে উঠে দেখি সংঘাত শুরু হয়ে গেছে। এখানে আমার কিছুই করার ছিল না।

জহির হোসেন/আরআই