কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় তরুণের মৃত্যু, প্রধান আসামির আত্মসমর্পণ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে ভাই রাহাত কবির আলম হত্যার প্রধান আসামি রকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের আদালতে আত্মসমর্পণ করে সে। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কুলিয়ারচর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সাভারের কোনো এক আত্মীয়র বাসায় পালিয়ে আত্মগোপনে ছিল রকি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ সাভারে রকির অবস্থানের কথা জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালায়। সেখান থেকেও পালিয়ে যায় রকি। এর ঢাকা এয়ারপোর্টের দক্ষিণ এলাকায় আরেক আত্মীয়র বাসায় আত্মগোপন করে রকি। সেখানেও পুলিশ হানা দিলে আবারও পালিয়ে যা সে। এভাবে বারবার বিভিন্নস্থানে পুলিশি অভিযান থেকে পালিয়ে গিয়ে অবশেষে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২ এ এসে আত্মসমর্পণ করে সে। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) পরিবারের লোকজনদের নিয়ে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে মা-বোনদের দেখে নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আলম মিয়ার মাথায় আঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
পরে স্থানীয়রা আলমকে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠান। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
নিহত রাহাত কবির আলমের বাড়ি কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ভাটি জগতচর গ্রামে। তার বাবার নাম খুরশিদ আলম।
এ ঘটনার পর নিহতের ভগ্নিপতি সুজন মিয়া বাদী হয়ে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রকি ও শাওনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসকে রাসেল/এমএএস