ঢাকায় যাব, এক ঘণ্টা ধরে টিকিটের জন্য দাঁড়ি‌য়ে আছি। কাউন্টার থেকে বলছে টিকিট নেই। মাইক্রোবাসও পাওয়া যাচ্ছে না।‌ একেবারে বাজে অবস্থা। যাত্রী‌দের ভোগা‌ন্তি দেখার যেন কেউ নেই।

এভা‌বেই ক্ষোভ প্রকাশ কর‌ছি‌লেন কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী মনির হোসেন।

তি‌নি ঢাকা পোস্ট‌কে ব‌লেন, পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে এ‌সেছিলাম। হোটেলে রুম না পেয়ে প্রথমে বিপাকে পড়েছিলাম। পরে কোনোরকমে একটা রুমের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু এখন যাওয়ার জন্য গাড়িও পাচ্ছি না। কক্সবাজারে এসে যেন পাপ করেছি।

মনির হোসেনের মতো শত শত যাত্রী শনিবার ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ছেন। কেউ কেউ টিকিট না পেয়ে ছোট গাড়ি মাইক্রোবাসের টিকিট নিয়ে কক্সবাজার থেকে ফিরছেন। 

কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা তামান্না নামের এক যাত্রী বলেন, ‘চিটাগাং যাব, টিকিট পাইনি। অ‌নেক ক‌ষ্টে একটি মিনি কার ভাড়া করেছি।’

আরিফ নামের আরেকজন বলেন, ‘টিকিট পেয়েছি, কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। দুই দিন ধরে এমনি সব কিছুর দাম বাড়তি হাওয়ায় কক্সবাজার শহরটাও ভালো করে দেখা হয়নি। কক্সবাজারে সব কিছুতে গলাকাটা বাণিজ্য চলছে।’

কলাতলী হানিফ বাস কাউন্টারে থাকা মিজান নামে এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা টিকিট বিক্রির জন্য এখানে বসে আছি। যে পরিমাণ পর্যটক এসেছে, এই পরিমাণ আমাদের কাছে পরিবহন নেই।

কক্সবাজার বাস মালিক সমিতির সদস্য এহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অতিরিক্ত পর্যটকের কারণে বাস কাউন্টারে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত কোচ দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

উল্লেখ্য, বিজয় দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে এবার প্রায় ৪ লাখ পর্যটকের সমাগম হয়। পর্যটনের ভরা মৌসুমে কক্সবাজারে বাস কোম্পানিগুলো গলাকাটা বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমএসআর