ফটিকছড়ির সেই শিশুকে এখনো ভুলতে পারেননি চাঁদপুরের ডিসি
চাঁদপুরে শুরু হয়েছে পানিতে শিশু ডুবে যাওয়া বিষয়ক ইস্যু ভিত্তিক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণ। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিসের হলরুমে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
প্রধান অতিধির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশে প্রতি বছর অনেক শিশু পানিতে পড়ে মারা যায়। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে এর হার অনেক বেশি। এটি যেকোনো পরিবারের জন্য অনেক কষ্টের বিষয়। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে আমরাও উপকৃত হতে পারব।
বিজ্ঞাপন
তিনি নিজের জীবনের দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমি ও আমার বোন পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যাই। এতে করে শ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে যাই। পরে আমাদের বড় বোন এসে উদ্ধার করেন আমাদের। এ ঘটনার পরে আমি সাঁতার শিখেছি।
তিনি আরেকটি ঘটনার কথা উল্লখ করে বলেন, আমি তখন ফটিকছড়িতে ইউএনও এর দায়িত্বে ছিলাম। তখন একটি শিশু পানিতে ডুবে মারা গেলে আমি সেখানে যাই। শিশুটিকে দেখে মনে হয়েছে সে ঘুমিয়ে আছে, মনেই হচ্ছিল না সে মারা গেছে। তার সেই মুখটা আমি এখনো ভুলতে পারিনি। তার বাবা-মায়ের আহাজারি এখনো কানে বাজে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আসলে প্রতিটি মানুষকেই সাঁতার শেখা অনেক জরুরি। বিশেষ করে শিশু অবস্থায়। তাছাড়া অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে। আশা করি এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সকলকে আরো বেশি সচেতন করা যাবে।
সোসাইটি ফর মিডিয়া (সমষ্টি) এবং উপযুক্ত মানব-যোগাযোগ কৌশল দ্বারা আয়োজিত গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন অফিসের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইসা রুহুলের সভাপতিত্বে ও প্রথম আলোর চাঁদপুর প্রতিনিধি আলম পলাশের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা।
দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন।
শরীফুল ইসলাম/এমএএস