বরগুনার তালতলীতে স্কুল থেকে বিতরণ করা উচ্চ পুষ্টিগুণসম্পন্ন বিস্কুট খাওয়ার পর জুনায়েত নামে এক বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়। চিকিৎসক ধারণা করছেন, শিশুটির শ্বাসনালীতে বিস্কুট আটকে গিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে।  

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু জুনায়েত একই এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছোট ছেলে। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, জুনায়েতের বড় ভাই জাকারিয়া (৯) স্থানীয় কড়াইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৩ ডিসেম্বর জাকারিয়াকে স্কুল থেকে উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ বিস্কুট দেওয়া হয়। ওই বিস্কুট আজ সকালে মা মল্লিকা বেগম জাকারিয়া ও এক বছরের শিশু জুনায়েতকে খেতে দেয়। বিস্কুট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জুনায়েত অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

শিশুটির মা মল্লিকা বেগম বলেন, স্কুল থেকে দেওয়া বিস্কুট খেয়ে আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ছেলে মারা যায়।

তবে একই বিস্কুট খেয়ে তাদের বড় ছেলে জাকারিয়ার কিছুই হয়নি।

কড়াইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বিউটি বেগম বলেন, তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়াকে বিস্কুট দিয়েছিলাম। উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ওই বিস্কুট ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের খাওয়ানো নিষেধ। 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া রাখি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শিশুটির শ্বাসনালিতে বিস্কুট আটকে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে।

তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই/জেএস