রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাকার বিনিময়ে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী আব্দুল কাদের মিন্টু। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধুলদীজয়পুর গ্রামের নিজ বাড়িতে  সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

আব্দুল কাদের মিন্টু বলেন, ধুলদীজয়পুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সরদার নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রাতে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মান্নান খাঁয়ের কর্মী মো. ইউনুছ গাইনের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেছিলেন। আমার আশঙ্কা সেখান থেকে তিনি টাকা গ্রহণ করে ফল পাল্টে দিয়ে আমাকে মাত্র সাত ভোটের ব্যবধানে পরাজয় দেখিয়েছেন। আমার এজেন্ট একাধিকবার তাকে পুনরায় ভোট গণনার কথা বললেও তিনি হুমকি দেন। 

আব্দুল কাদের মিন্টু বলেন, বিপুল কর্মী-সমর্থক থাকার পরও বড় ধরনের সংঘাত পরিহারের জন্য আমি সবাইকে সেখান থেকে ফিরে আসি। আজ গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরলাম। পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে যা করণীয় তাই করবো।

অভিযুক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী আমি সারারাত ভোটকেন্দ্রের স্কুলেই ছিলাম। আমি কোনো প্রার্থী বা কোনো এজেন্টের কাছ থেকে টাকা-পয়সা গ্রহণ করিনি। শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মাদ মাহমুদ হাসান বলেন, প্রত্যেক প্রিসাইডিং অফিসারকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া ছিল। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ এবং গণনা করা হয়েছে। এরপরও যদি কারো অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ বা মামলা করতে পারেন।

মীর সামসুজ্জামান/আরএআর