৩৪ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন অধ্যাপক আকন্দ
১৯৮৭ সালের ১৪ মে গণিত বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতায় নাম লিখিয়েছিলেন আবুল কাশেম আকন্দ। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে কেটেছে তার ৩৪ বছর ৭ মাস। এর মধ্যে ২৬টি বছর কাটিয়েছেন ময়মনসিংহের ঐহিত্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দ মোহন কলেজেই। ৬ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে। অবশেষে এখান থেকেই অবসর নিয়ে সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন গুণী এই শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ছিল এ শিক্ষাগুরুর শেষ কর্মদিবস। আর এ দিন বিদায় সংবর্ধনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিদায় জানিয়েছে গণিত বিভাগ পরিবার।
বিজ্ঞাপন
এতে উপস্থিত হয়ে বিদায়ী বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমান উল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক আজহারুল হক, গণিতসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষকবৃন্দ। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বর্তমানরাও।
আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ বলেন, শিক্ষকরা কখনও অবসর নেন না। তারা চাকরি জীবন থেকে অবসর নিলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে চির জাগরুক থাকেন।
বিজ্ঞাপন
বিদায়ী বক্তব্যে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল কাশেম আকন্দ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেই জীবনের প্রায় ৩৫ বছর কাটিয়েছি। এ সময়টা আমার কাছে জীবনের সেরা সময়। আমার গণিত বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের সফলতায় নিজেই সবচেয়ে বেশি গর্ব অনুভব করি। আর আনন্দ মোহন কলেজের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ২৬ বছর।
১৯৬৩ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবুল কাশেম আকন্দ। ১৯৭৭ সালে মুক্তাগাছার আর কে হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৯ সালে শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৮৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক ও ১৯৮৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
১৯৮৭ সালের ১৪ মে শেরপুরের শ্রীবরদী সরকরি কলেজে গণিত বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আবুল কাশেম আকন্দ। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষকতা করেন জামালপুরের সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ, সিরাজগঞ্জের শাজাহাদপুর সরকারি কলেজ, বরিশালের ফজলুল হক কলেজ, রংপুরের কারমাইকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে আনন্দ মোহন কলেজের গণিতের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আবুল কাশেম আকন্দ।
উবায়দুল হক/এসপি