নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ইলমদীবাগ এলাকায় সোনারগাঁয়ের বস্তল গ্রামের দুই যুবকসহ তিনজনকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মদনপুর-আড়াইহাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। 

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের বস্তল এলাকায় রাস্তায় এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

খবর পেয়ে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সাইদ পিয়াল সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।

এলাকাবাসী জানায়, সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মফিজুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের ইলমদী এলাকায় কারখানার শ্রমিক নিয়ে আসার জন্য বৃহস্পতিবার ভোরে বাসা থেকে লেগুনা নিয়ে বের হয়। পরে স্বজনরা খবর পায় তাদের ডাকাত আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ছেলে হত্যার বিচার চাইতে এসে নিহত জহিরুল ইসলামের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ছেলে ভোর ৪টায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। পরে জানতে পারি তাকে ইলমদী এলাকায় অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি।

নিহত মফিজুলের আত্মীয় আসাদ মিয়া বলেন, দুইজন যুবককে অপহরণের পর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ অঞ্চলে তাদের কোনো খারাপ রেকর্ড নেই। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি করছি।
 
নিহত নবী হোসেনের বাবা মোসলেম মিয়ার অভিযোগ, আড়াইহাজার এলাকার মফিজের সঙ্গে শত্রুতার কারণে তিনজনকে ডাকাত বলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলেই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সাইদ পিয়াল বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ইলুমদী এলাকায় ডাকাত সন্দেহে তিনজনকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উদঘাটন করা হবে।

শেখ ফরিদ/আরআই