দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে শীতের প্রকোপ। উত্তর দিক থেকে হিমালয়ের গা ছুঁয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে এ জেলায় তাপমাত্রা ক্রমশ নিম্নমুখী। এতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার গরিব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ। 

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 

জানা গেছে, বিকেলের পর থেকে পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে ঘন কুয়াশা আচ্ছাদিত থাকে। যা স্থায়ী থাকে পরদিন সকাল পর্যন্ত। সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে খানিকটা সূর্যের দেখা মিললেও রোদে তাপ থাকে না। গোটা জেলার ওপর দিয়ে সারাদিন হিমেল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। কনকনে শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষেরা। তারা কনকনে শীতে কাজ করতে পারছেন না। কাজের সন্ধানে বের হলেও অনেকে কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। 

জেলা প্রশাসন জানায়, এখন পর্যন্ত জেলার ৫ উপজলার ৪৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় মোট ৩৪ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিনিই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ শনিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। কমবেশি প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও বিত্তবানরা যদি শীতবস্ত্র নিয়ে পাশে দাঁড়ায়, তাহলে গরিবমানুষদের কষ্ট লাঘব হবে। 

রনি মিয়াজী/আরএআর/জেএস