চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আশরাফ হোসেন (৩৮) এবং অফিস সহকারী সাইফুর রহমানের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করেছে সমন্বিত জেলা দুনীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়া। 

দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগের তদন্তে সামাজিক উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ সরকারি ত্রাণের (জিআর) ৬০০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ মামলা হয়েছে। এসব চালের আর্থিক মূল্য ২ কোটি ১৮ হাজার টাকা। 

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) জিয়া হায়দারের আদালতে দুদক সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ৫।

আসামিরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার সজ্জনকান্দা (বড়পুল) গ্রামের বাসিন্দা মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন। বর্তমানে তিনি দামুড়হুদা উপজেলার পিআইও। অপরজন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মৃত আমীর হোসেন মালিকের ছেলে ও উপজেলা পিআইওর কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাইফুর রহমান মালিক। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়কালে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসে কর্মরত থাকাকালীন পরষ্পর যোগসাজসে সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন খাতে সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্ত ৬০০ মেট্রিক টন চাল ভুয়া মাস্টাররোল এবং বিল ভাওচার তৈরির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। তদন্তকালে এ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয় দুদক। এতে দণ্ডবিধির  ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা তৎসহ ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২ ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে দুদকের কাছে প্রতীয়মান হয়। 

সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সজেকা কুষ্টিয়ার কৌঁসুলি আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

রাজু আহমেদ/এমএএস