বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার
ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় মফিজুল ইসলাম (৩২) নামের আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন-সংলগ্ন কালিরচর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা।
এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৮ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিহত মফিজুল ইসলাম বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার বকুলতলা গ্রামের মো. রওশন আলী ছেলে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের দুবলা শুঁটকিপল্লি টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের কালিরচর এলাকা থেকে আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সাগরে মরদেহ ভাসতে দেখে বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় সাগরে মাছ ধরতে থাকা অন্য জেলেরা মরদেহটি উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া সুন্দরবনের দুবলার জেলেপল্লির দুটি ও অন্যান্য জেলার পাঁচটিসহ সাতটি মাছ ধরার ট্রলারের কোনো সন্ধান এখনো মেলেনি বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দবনের দুবলার শুটকি পল্লী এবং উপকূলীয় এলাকার অন্তত ২১টি ট্রলার ডুবে যায়। শনিবার সকালে ডুবে যাওয়া ১৬টি ট্রলার এবং দেড়শতাধিক জেলেকে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করে অন্য জেলেরা।
মঙ্গলবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া রুহল হাওলাদার (৪২) বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের উকিল উদ্দিনের ছেলে এবং শহিদুল মল্লিক (৪০) একই এলাকার সৈয়দ মল্লিকের ছেলে।
শুক্রবার রাতে ট্রলার ডোবার পরে শনিবার ২ জনের, রবিবার রাতে একজনের এবং সোমবার আরও দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে জেলেরা। এরা হলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মামুন শেখ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার ইসমাইল শেখ, কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের প্রয়াত সোনাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলী বাওয়ালী (২৮), একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লার ছেলে মহিদ মোল্লা (৩৫) একই উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদল (৫০)।
তানজীম আহমেদ/এনএ