গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগের আট জেলার ৮৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২৬ জনের। শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে।

এর আগে মঙ্গলবার ২৬৯ জন শনাক্তের দিনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সোমবার ২৯৭, রোববার শনাক্ত ৩২১ ও ৩ জনের মৃত্যু এবং শনিবার ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ৯৮, নীলফামারীর ৩৪, দিনাজপুরে ৩২, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬, গাইবান্ধার ১৫, লালমনিরহাটে ১১, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ১০ জন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৫০ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্ত গুরুত্বর ১০৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৪ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে।

পরিচালক আরও জানান, রংপুর বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৬ হাজার ৪৪৯ এবং ৩৩৬ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৯৫-তে।

এ ছাড়া জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৫৩ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু ২৫৬ ও শনাক্ত ৮ হাজার ৪৫২, নীলফামারীতে মৃত্যু ৯১ ও শনাক্ত ৫ হাজার ২৪৩, পঞ্চগড়ে মৃত্যু ৮২ ও শনাক্ত ৪ হাজার ২৬৫, কুড়িগ্রামে মৃত্যু ৬৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৮৯৭ এবং লালমনিরহাট জেলায় মৃত্যু ৭০ ও আক্রান্ত ৩ হাজার ১২৮ জন।

তিনি জানান, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ৩ লাখ ২৭ হাজার ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ হাজার ২৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬২ জনের। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৬ হাজার ৪৯২ জন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই