দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত যুবক মীর হোসেন মিরাজের (৪৫) বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নে। তিনি ইউনিয়নের দত্তসার গ্রামের সফিকুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল।

তিনি জানান, আমি শুনেছি ছেলেটার মৃত্যুর কথা। খুবই দুঃখজনক বিষয়। তার পরিবার যদি মরদেহ আনা বা অন্য কোনো বিষয়ে সহযোগিতা চায়, আমরা সব করতে প্রস্তুত আছি।

নিহতের মামাশ্বশুর শামিম আহমেদ জানান, মিরাজ কাজের জন্য ১২ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সেখানে ঘাটেং প্রদেশের বেনানী এলাকায় আরও কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে যৌথ অংশীদার ব্যবসা করতেন তিনি। সন্ত্রাসীরা গুলি করে স্থান ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। প্রবাসীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

জানা যায়, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক ১০টায় ঘাটেং প্রদেশের বেনানী এলাকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা মিরাজের রুমে হানা দেয়। অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্র এবং ব্যাংকের কার্ড নিয়ে যাওয়ার সময় তার বুকে ও মাথায় গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে আহত আরেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

নিজ দোকানে ডাকাতের গুলিতে আহত হওয়ার পর সাইফুল দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় কিম্বার্লি প্রাদেশিক হাসপাতালে মারা যান তিনি। সাইফুল ইসলামের নোয়াখালী জেলায়।

অমিত মজুমদার/এনএ