সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার অভিযোগ চালগুলো প্লাস্টিকের!
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় প্লাস্টিকের চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোলের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বালিয়াকান্দি বাজারের চাল ব্যবসায়ী অরুণ কুন্ডুর দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হলে তিনি চাল বিক্রি করার কথা স্বীকার করলেও এটি যে স্বাভাবিক চাল নয় সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। এসময় ওই চাল যে পাইকারের কাছ থেকে ক্রয় করেন সেই দোকানে অভিযান চালালে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এটি যে প্লাস্টিকের চাল তা জানেন না বলে দাবি করেন পাইকারী বিক্রেতাও।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিকভাবে প্লাস্টিকের চাল মনে হলেও সেটি আসলেই প্লাস্টিকের চাল কীনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চালগুলো ঢাকা নিরাপদ খাদ্যের পরীক্ষাগারে অথবা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হবে এমন সিদ্ধান্ত নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চাল ক্রেতা সুলতান মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২০ জানুয়ারি বালিয়াকান্দি বাজারের অরুণ কুন্ডুর দোকান থেকে ১৬ কেজি ইন্ডিয়ান বিনা গোল্ড চাল কিনেছি। চালগুলোর ভাত কিছুটা শক্ত এবং কোনো স্বাদ নেই। এরপরেও প্লাস্টিক সন্দেহ না হওয়ায় খেয়ে ফেলেছি। তবে পিঠা বানানোর জন্য মেশিনে গুঁড়া করার সময় বাধে বিপত্তি। কোনোভাবেই চালগুলো স্বাভাবিক চালের মতো গুঁড়ো হচ্ছিল না। তখনই আমার মনে সন্দেহ জাগে এবং চালের নমুনাসহ ইউএনও স্যারকে অভিযোগ করি।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ প্রসঙ্গে চাল ব্যবসায়ী অরুণ কুন্ডু বলেন, চাল উৎপাদন তো আমরা করি না। বিভিন্ন পাইকারের কাছ থেকে আমরা কিনে এনে খুচরা বিক্রি করি। এক্ষেত্রে ওই চালে সমস্যা থাকলে আর বিক্রি করব না।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিকের চাল স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চাল ক্রয় অথবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসিবুল হাসান বলেন, আমরা একজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানকার চাল প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছে প্লাস্টিকের। তবে বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার কারণে আমরা নিরাপদ খাদ্যের পরীক্ষাগারে অথবা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। বিষয়টি যদি প্রমাণিত হয় যে, এগুলো প্লাস্টিকের চাল তাহলে যথাযথ আইনের মাধ্যমে এনে এদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মীর সামসুজ্জামান/এমএএস