সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পুলিশের পিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধের তিন ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এলাকাবাসী। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এলাকার কয়েক হাজার মানুষ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ওই সড়কে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। 

এর আগে অবরোধকারীদের শান্ত করতে গিয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুজ্জামান তোপের মুখে পড়েন। পরে দ্রুত তিনি স্থান ত্যাগ করেন। তার গাড়ি মরদেহের ওপর দিয়ে এসেছে- এমন কথা ঘটনাস্থলে প্রচার হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামের উজির মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গরু চোর সন্দেহে পুলিশ আটক করে। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি জামিন পান তিনি। তবে পুলিশের মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েন উজির মিয়া। তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সোমবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শান্তিগঞ্জ থানার এসআই আলাউদ্দিন, এসআই দেবাশীষ ও এসআই পার্ডন কুমার সিংহের বিচারের দাবিতে উজির মিয়ার মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুজ্জামান বলেন, উজির মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য ওখানে গিয়েছিলাম। লোকজন আমার ওপর চড়াও হলে আমি দ্রুত ওখান থেকে চলে আসি।

এদিকে বিকেল ৫টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল আলিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, যে মারা গেছে, সে আমাদের ভাই। এই বিষয়ে সর্বোচ্চ তদন্ত করব আমরা। কোনো আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি প্রাকৃতিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে এই বিষয়গুলো আমরা তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। 

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর