সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারিতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। কোনো কোনো আমদানিকারক তাদের কন্টেইনার ২১ দিন বা তারও বেশি সময়ে ছাড় না নিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করছেন। 

এতে বন্দরের স্বাভাবিক অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। তাই এই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ১৫ মার্চ থেকে ২১ দিন পার হওয়া এফসিএল কন্টেইনারের পণ্য বন্দর থেকে খালাস না করলে আমদানিকারকের ওপর বাড়তি চার গুণ স্টোর রেন্ট আরোপ করার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক। তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কন্টেইনার সংখ্যা নেমে না এলে কর্তৃপক্ষ চিন্তা-ভাবনা করবে কী করা যায়। এই ব্যাপারে আমরা একটি নোটিশ দিয়েছি। তাতে বন্দর ব্যবহারকারীদের দ্রুততম সময়ে আমদানি পণ্যবোঝাই কন্টেইনার খালাস করে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। 

এর আগে ২ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দরের স্বাভাবিক অপারেশনাল কার্যক্রম অবিঘ্নিত রেখে দেশের সকল আমদানি-রপ্তানিকারকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে বন্দরে রাখা আমদানি করা এফসিএল কন্টেইনারগুলো বন্দর থেকে দ্রুত ডেলিভারি নেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, অন্যথায় আমদানিকারক কর্তৃক অখালাসকৃত বন্দরে  এফসিএল কন্টেইনারের ক্ষেত্রে রেগুলেশন্স ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কন্টেইনার) ২০০১ এর ১৬০ ধারার আলোকে কমন ল্যান্ডিং ডেটের পর ২১তম দিন থেকে প্রযোজ্য স্লাবের স্বাভাবিক ভাড়ার ওপর ৪ গুণ হারে ষ্টোর রেন্ট আরোপে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হবে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তা আগামী ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

কেএম/এনএফ