ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি না করে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুত করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। যার প্রমাণ মিলল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে। দুই প্রতিষ্ঠানেই পাওয়া গেল অবৈধভাবে মজুত করা ৭ হাজার ১৫৮ লিটার বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেল। এ অপরাধে প্রতিষ্ঠান দুটিকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ মে) গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় বি‌শেষ অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ও মো. মাগফুর রহমান।

আব্দুল জব্বার মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাজীপুর জেলার বোর্ড বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় বোর্ড বাজারের মেসার্স মনির জেনারেল স্টোর পুরোনো মূল্যের বোতলজাত সয়াবিন তেল ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি না করে মজুত করে। ওই দোকান থেকে ১, ২ ও ৫ লিটার সমপরিমাণের মোট ২ হাজার ৫৮ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে উপস্থিত আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে আগের দরে ১ লিটার ১৬০ টাকা, ২ লিটার ৩১৮ টাকা এবং ৫ লিটার ৭৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

যথাযথভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি বা সরবরাহ না করে অবৈধভাবে মজুত করা এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করার অপরাধে তাদেরকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

একই এলাকার সয়াবিন তেল মজুত করেছে মেসার্স আর পি ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটি আগের দরে কেনা ২৫ ড্রাম প্রতি ড্রামে ২০৪ লিটার হিসেবে পাঁচ হাজার ১০০ লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেল যথাযথভাবে বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুত করেছে রেখেছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা নেই এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। এসব অপরাধে মেসার্স আর পি ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মজুত করা তেল উপস্থিত ক্রেতাদের কাছে আগের মূল্যে (১৪৩ টাকা প্রতি লিটার) বিক্রি করা হয়।

সব মিলিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ৭ হাজার ১৫৮ লিটার ভোজ্যতেল উপস্থিত আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে আগের দরে বিক্রি করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।

এসআই/জেডএস