নেতৃত্বের দৃঢ়তা, স্বকীয়তা ও মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি (বিইএ)।

শনিবার (১৮ জুন) অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে উপস্থাপিত ‘নিজ অর্থে পদ্মা সেতু : একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন’ শীর্ষক নিবন্ধে সমিতি এ অভিনন্দন জানায়। অভিনন্দন নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।

নিবন্ধে বলা হয়, ‘নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু’ নির্মাণকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অনন্য অর্জনের জন্য সেতু উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও প্রজ্ঞায় লালিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে। বাংলাদেশকে আরও একবার বিজয়ের আনন্দ এনে দিয়েছে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাতে-কলমে আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে। নেতৃত্বের দৃঢ়তা, স্বকীয়তা ও দূরদর্শিতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান বাস্তবতা।

অর্থনীতি সমিতি দেশে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ যে সম্ভব—সে কথা প্রথম ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণপূর্বক উত্থাপন করেছে। সেজন্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকেও অভিনন্দন জানানো হয়।

সমিতি বলছে, ২০১২ সালের ২৯ জুন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু ঋণচুক্তি বাতিল করে দেওয়ায় বাংলাদেশের তীব্র ভাবমূর্তি সংকটকালে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। তখন  দেশের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ, সমাজবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক, রাজনীতিবিদ সন্দেহ-সংশয়-বিদ্রূপ করছিলেন। সকল প্রতিকূলতা ছাপিয়ে পদ্মা সেতু বর্তমানে দৃশ্যমান এক বাস্তবতা।

আরএম/এসকেডি