পার্বত্য মেলা যেন পাহাড়িদের সঙ্গে সমতলের মেলবন্ধন
পার্বত্য এলাকার মানুষদের জীবন-কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সমতলের মানুষের মেলবন্ধন করতে চার দিনব্যাপী চলছে পার্বত্য মেলা।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলা শুরু হয়। রোববার (১৫ জানুয়ারি) মেলার শেষদিন। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
সপ্তমবারের মতো আয়োজিত মেলায় পার্বত্য মেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ, প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ১০৩টি স্টল রয়েছে।
মেলায় তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাঁতে বোনা পণ্য, ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার দ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
মেলার শেষদিনে সকাল থেকেই ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। দুপুরের পর দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেলার সার্বিক বিষয় জানতে কথা হয় পার্বত্য মেলার আয়োজক ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের পরিচালক খন্দকার শাহিনুর রহমানের সঙ্গে।
ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, এবার সপ্তমবারের মতো এই মেলার আয়োজন করলাম। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে প্রতিবছর আমরাই মেলার আয়োজন করে থাকি।পাহাড়ি যারা আছেন, তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো কীভাবে আমাদের লোকাল মার্কেটের সঙ্গে সংযোগ ঘটানো যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই এই মেলার আয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। দিনে দিনে এর প্রসারতা বেড়ে যাচ্ছে। আদিবাসীরা যখন এখানে আসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। এর ফলে আদিবাসীদের কৃষ্টি ও হাতে তৈরি হ্যান্ডিক্রাফট কিংবা তাদের উৎপাদিত পিঠা সম্পর্কে সবাই জানতে পারছে। এমনকি তাদের তৈরি কৃষি পণ্যও পাওয়া যাচ্ছে। তারা তাদের পণ্যের দাম পাচ্ছে। লোকাল মার্কেটের সঙ্গে সংযোগ ঘটার ফলে তারাও লাভবান হচ্ছেন।
পার্বত্য এলাকা থেকে মেলায় আসা জ্যোতি চাকমা বলেন, আমি এই তৃতীয়বার মেলায় এসেছি। মেলায় হস্তশিল্পের পণ্য নিয়ে এসেছি। আমরা পার্বত্য এলাকার বাইরে গিয়েও পণ্য বিক্রি করতে পারায় খুশি।
মেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে পার্বত্য জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মেলার উদ্বোধন করেন।
আরএম/কেএ