৬ মাস পর পুঁজিবাজার নিয়ে কেউ খেলতে পারবে না: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম/ফাইল ছবি
আগামী ৩-৬ মাসের মধ্যে দেশের পুঁজিবাজার টেকসই হবে। এরপর বড় কোনো শক্তি পুঁজিবাজার নিয়ে খেলতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএসইসির সম্মেলন কক্ষে দৈনিক ‘বাণিজ্য প্রতিদিন’র অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ‘রোল অব ক্যাপিটাল মার্কেট ইন কিপিং ইকোনোমি ভাইব্রেন্ট ডিউরিং কোভিড-১৯ প্যান্ডামিক’ শীর্ষক একটি সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে আর ভয় নেই। আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এই স্থিতিশীলতা আরো জোড়ালো হবে।
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, বর্তমান কমিশন অনেক সক্রিয়। হঠাৎ করে কোনো শক্তি যেন পুঁজিবাজারকে ফেলে দিতে না পারে সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। আমরা বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজ করছি।
বিজ্ঞাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্য বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আইপিও দিচ্ছি, আরো আইপিও দেব। এতে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ছে। তবে যদি কখনও দেখা যায় এতে বাজার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাহলে আমরা তা পরিবর্তন করব।
তিনি বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন কোভিড-১৯ শুরু হয়েছিল। ফলে পুঁজিবাজার আড়াই মাস বন্ধ ছিল। এর মধ্যেও আমরা কাজ করেছি। মূলত অর্থনীতিকে সচল রাখতে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, সরকার কোভিড-১৯ সময়ে সাপ্লাই চেইনে যে দুরদর্শিতা দেখিয়েছেন তা এখন বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে দেখতে পারছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা তো ফেরেস্তা না যে আমাদের ভুল হবে না, ভুলগুলো মিডিয়া ধরিয়ে দেবে এটাই প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
প্যানেল আলোচনায় ছিলেন বিডি ফ্যাইন্যান্সের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও সেক্রেটারি মনির হোসেন।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বক্তারা বলেন, জয়েন্ট স্টকে লক্ষাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত থাকলেও স্টক মার্কেটে শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আনতে হলে নতুন নতুন প্রোডাক্ট চালু করতে হবে। বিশেষ করে নন লিস্টেট ও লিস্টট কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্সের পার্থক্য কমাতে হবে।
এমআই/ওএম