ঈদের কেনাকাটায় আর্জেন্টিনার ম্যাচের টিকিট জেতার সুযোগ
কেনাকাটায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে বিকাশ পেমেন্ট
সহজ, নিরাপদ ও সময় সাশ্রয়ী হওয়ায় দৈনন্দিন জীবনের কেনাকাটায় মানুষের আস্থা বাড়ছে ডিজিটাল লেনদেনে। আর এই ডিজিটাল লেনদেনের সমার্থক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। পাড়ার দোকানে ওষুধ কেনা থেকে শুরু করে প্লেনের টিকিট কাটা– সবই করা যাচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে। সারাদেশেই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছে ডিজিটাল পেমেন্ট মানেই বিকাশ পেমেন্ট। আর উৎসবের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে গ্রাহকের নির্ভরতা বাড়ছে।
ঈদের সময়টায় স্বভাবতই বাড়তি কেনাকাটা করেন সবাই। আর এই আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ততা বাড়াতে বিকাশ দিয়ে থাকে আকর্ষণীয় সব অফার। এবারের ঈদুল আজহা বিকাশ গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কেননা ঈদের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্ট করে সৌভাগ্যবান গ্রাহকরা সুযোগ পেতে পারেন আর্জেন্টিনার ম্যাচের টিকিট জেতার সুযোগ।
বিজ্ঞাপন
গত কয়েক বছর ধরেই দেশজুড়ে মানুষের উৎসবের কেনাকাটার অন্যতম সঙ্গী বিকাশ পেমেন্ট। তবে এবারের ঈদে বিকাশ পেমেন্ট পেয়েছে নতুন মাত্রা, কেননা বিকাশে সর্বোচ্চ পেমেন্ট করে আর্জেন্টিনার ম্যাচ টিকিট নিয়ে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, জুলিয়ান আলভারেজ, এমি মার্টিনেজদের নিয়ে গড়া বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলা সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন ২১ সৌভাগ্যবান গ্রাহক।
গত ৮ জুন থেকে শুরু হয়ে ২৮ জুন পর্যন্ত চলা ঈদের কেনাকাটায় সর্বোচ্চ পেমেন্ট করে এই সুযোগ নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা। তিন সপ্তাহব্যাপী চলা এই ক্যাম্পেইনে প্রতি সপ্তাহে ৭ জন করে মোট ২১ জন সর্বোচ্চ পেমেন্টকারী পাবেন আর্জেন্টিনার খেলা দেখার সুযোগ।
বিজ্ঞাপন
এই সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের বিমান টিকিট, হোটেলে থাকার খরচ বিকাশের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। খেলার তারিখ, প্রতিপক্ষ, ভেন্যুসহ বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বিজয়ীদের। ক্যাম্পেইন চলাকালীন একজন গ্রাহক একবারই বিজয়ী হতে পারবেন।
এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্যাশব্যাক গ্রাহকের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। অনলাইন কিংবা অফলাইন, ব্র্যান্ডের দোকানসহ ছোট-বড় দোকান থেকে পছন্দের জামা, জুতা, অন্যান্য আনুষঙ্গিক পণ্য কিনে ডিজিটাল পেমেন্ট করছেন অসংখ্য ক্রেতা, সঙ্গে উপভোগ করছেন বিভিন্ন অঙ্কের ক্যাশব্যাক।
বিকাশ পেমেন্টের সুবিধার কথা বলতে গিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহাদত আলম বলেন, অফিসের কাজে কয়েকবার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কয়েকটি দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট দেখে মনে হয়েছে ওরা ক্যাশ টাকায় পেমেন্ট করার বিষয়টি ভুলে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও এখন ডিজিটাল পেমেন্টে আমার মতো অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে। বিকাশ সারাদেশের অলিগলিতে তাদের পেমেন্ট নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়িয়েছে। ফলে মানুষের মধ্য অনেক রকম সুবিধার বিকাশ পেমেন্টর আগ্রহ দিন দিন আরও বাড়ছে।
এদিকে পান্থপথের বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জাকিয়া সুলতানা বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও খাওয়া-দাওয়া করতে গেলেই আগে দেখে নেই বিকাশ পেমেন্টের অপশন আছে কিনা। কারণ অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে বিকাশ পেমেন্টে পাওয়া যায় ক্যাশব্যাক যা খাওয়ার আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়। আর কিউআর কোড দিয়ে পেমেন্ট করা খুব সহজও। মাস শেষে কোথায় কত খরচ হলো সেই হিসাব রাখাও সহজ হয়ে যায়।
ডিজিটাল কেনাকাটায় শুধু যে গ্রাহকরাই স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন তা নয়, বিক্রেতাদেরও কাজও অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। একটি স্বনামধন্য বুটিক শপের ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, উৎসবের সময় ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় হয় যা সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় বিক্রয়কর্মীদের। বিশেষ করে খুচরা বা ভাঙতির ঝামেলার কারণে। তবে এখন লেনদেন আগের চেয়ে সহজ হয়েছে বিকাশের মতো ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার বাড়ায়। এখন অনেক কম সময়ে লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে।
বর্তমানে সারাদেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ছোট বড় বিকাশ মার্চেন্ট পয়েন্ট রয়েছে, যেখানে ক্রেতারা বিকাশ অ্যাপ, ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে বা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার দাম পরিশোধ পারেন। এসব দোকানগুলোতে খুচরা টাকার ঝামেলা এড়িয়ে ছোট থেকে বড়, যেকোনো অঙ্কের কেনাকাটায় পেমেন্ট করা যাচ্ছে বিকাশ দিয়ে। কেবল পণ্য কেনাকাটা নয় রাইড শেয়ারিং সেবা, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, বিমানের টিকিট কেনার ক্ষেত্রেও ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিকাশ পেমেন্ট।
অনলাইনে খাবার অর্ডার করে বা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গিয়েও ডিজিটাল পেমেন্টে অভ্যস্ততা বাড়ছে। কিউআর কোড স্ক্যান করে বা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই খাবারের দাম দেওয়ার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গ্রাহকদের মাঝে ডিজিটাল পেমেন্টের অভ্যস্ততা তৈরি হচ্ছে।
কেএ