পশুখাদ্যে ব্যবহৃত ‘সয়াবিন মিল’ আমদানিতে কর মওকুফ
পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সয়াবিন মিলের ওপর আরোপিত শুল্ক-কর মওকুফ করেছে সরকার। ফলে কাঁচামাল হিসাবে ‘সয়াবিন মিল’ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক-কর দিতে হবে না। তবে শুধুমাত্র ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হবে। ফলে বাজারে বিদ্যমান পশুখাদ্যের দাম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ২ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ ও মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে ২০২০ সনের ৩ জুন তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে এস.আর.ও. নং ১২৮-আইন/২০২০/৭৯/কাস্টমস এর সংশোধন করে শুল্ক-কর অব্যাহতির তালিকায় সয়াবিন মিল সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সয়াবিন মিল হচ্ছে পোল্ট্রি ও গো-খাদ্যের ব্যবহৃত কাঁচামাল, যা সয়াবিন উৎপাদনের পর অবশিষ্টাংশ। পশুখাদ্যে ২৮-৩০ শতাংশ ওই পণ্য ব্যবহার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফিটা) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আস্থা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন খাঁন বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পোলট্রি, মৎস্য ও ডেইরি শিল্পের খাদ্য তৈরির কাঁচামালসমূহের দাম দেশি ও এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দেশ আবার উৎপাদনও বন্ধ করে দিয়েছিল। খাদ্য উপকরণের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক ফিড মিল ও ছোট ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পে পোল্ট্রি, মৎস্য ও পশুখাদ্য উৎপাদনে (সয়াবিন মিল) একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। পণ্যটির বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় এবং অনেক পরিমাণ ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশ সরকার পণ্যটি দীর্ঘদিন রেয়াতি সুবিধা দিয়ে আসছিল। শুধু নামের তারতম্য থাকার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে গত ৪ মাস যারা সয়াবিন মিল আমদানি করেছেন তাদের অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এনবিআরের এ সিদ্ধান্তের ফলে পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টর সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হবেন। ফলে সয়াবিন মিলের দাম কমবে এবং সেই সাথে ফিডের দাম কমবে বলে আশা করছি।
আরএম/এসকেডি