তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে জিএসইএ ক্যাম্পেইন শুরু
বাংলাদেশে ‘গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনারস অ্যাওয়ার্ডস (জিএসইএ)’ প্রতিযোগিতার ক্যাম্পেইন শুরু করেছে উদ্যোক্তা সংস্থা ‘এন্টারপ্রেনারস অর্গানাইজেশন (ইও)’। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে উদীয়মান প্রতিভাবানদের সামনের সারিতে নিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে এ বছর ইও-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
এনএসইউ স্টার্ট-আপ নেক্সট অ্যান্ড ইয়েসের (তরুণ উদ্যোক্তা সোসাইটি) সহযোগিতায় গত ১ অক্টোবর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) একটি ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এএফসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ইও-বাংলাদেশের ২০২৩-২০২৪ সেশনের প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন এবং এলসন কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং জিএসইএ বাংলাদেশের ২০২৩-২০২৪ সেশনের চেয়ারম্যান সাদাত অমিসহ অনুষ্ঠানে ইও-বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এবং প্যারাগন সিরামিকস লিমিটেডের এমডি ফারিয়ান ইউসুফ, এবং শাশা ডেনিম লিমিটেডের ডিরেক্টর জারিন মাহমুদ হোসেইন বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করেন।
বিজ্ঞাপন
ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে এনএসইউর সিনিয়র লেকচারার মির্জা এম ফেরদৌস বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকতা তৈরি করতে আশ্বস্ত করেন যে স্কুল অফ বিজনেস এবং ক্লাবগুলো ছাত্র উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশ করবে এবং তাদের ভবিষ্যতের উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা সরবরাহ করবে।
এর আগে ইও-বাংলাদেশ গত ৫ সেপ্টেম্বর আরআইএসই ও বুয়েট ক্যাম্পাসে এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর ডিআইইউ ক্যাম্পাসে অনুরূপ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। এ বিষয়ে সামনের দিনগুলোতে আরও ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে ডিইউ, ইউএলএবি, ইউআইইউ, ব্র্যাকইউ, এনইউবি, আইইউবিসহ আরও কয়েকটি ক্যাম্পাসে।
বিজ্ঞাপন
এই প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনের সময়সীমা ৭ নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত। gsea.org/apply এই লিল্কে গিয়ে আবেদন করা যাবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী পাবেন ৫০ হাজার ডলার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন ২০ হাজার ডলার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন ১০ হাজার ডলার।
উদ্যোক্তা সংস্থা ইও ২২০টির বেশি অধ্যায় এবং ৭৬টি দেশে ১৮০০০+ ব্যবসার মালিকদের একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক। ১৯৮৭ সালে স্কেলিংআপ প্রশিক্ষক ভার্ন হার্নিশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইও ছোট এবং বড় ব্যবসার মালিকদের একে অপরের কাছ থেকে শিখতে সহায়তা করে, যা বৃহত্তর ব্যবসায়িক সাফল্য এবং সামাজিক নেটওয়াকিংয়ের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত জীবন গড়ে তোলার দিকে পরিচালিত করে।
এসআই/এমএ