ডিম ও মুরগিতে স্বস্তি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও রোজা শুরুর অজুহাতে এক সপ্তাহ আগেও মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে বিধিনিষেধ শুরুর পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
সপ্তাহ না পেরোতেই সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। আর ডজন প্রতি ডিমের দাম কমেছে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে ক্রেতা সমাগম কমে যাওয়ার কারণে বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে কমেছে দামও।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রামপুরা ও মধুবাগ এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০-১৬৫ টাকা থেকে কমে ১২৫-১৪০ টাকা কেজিতে কেনাবেচা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম কমেছে। দাম কমেছে লেয়ার মুরগিরও। রোজার প্রথম সপ্তাহে ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগির দাম এখন কেজিতে ১৮০-১৯০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া সোনালী কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮০-৩০০ টাকায়। গত সপ্তাহে কেজিতে এ মুরগীর দাম ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। দাম কমার প্রভাব পড়েছে দেশি মুরগিতেও। ৫০০-৫১০ টাকা থেকে কমে দেশি মুরগী ৪৬০-৪৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুরগী বিক্রেতা জুয়েল বলেন, লকডাউনে মানুষ তুলনামূলক অনেক কম বের হচ্ছেন। অনেকে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। হোটেল-রেস্তোরাও আগের মতো মুরগি নেয় না। তাই বিক্রি কমে গেছে, যার প্রভাবে দামও কমেছে। রোজা ও লকডাউনের শুরুতে বিক্রি ভালো ছিল। তাছাড়া রোজায় মুরগি সব সময় কম চলে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম পূর্বের অবস্থানে ফিরে গেছে। গত সপ্তাহে হালিতে দাম বেড়েছিল পাঁচ টাকার বেশি। এ সপ্তাহে দাম কমে হালি প্রতি ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন ৯০-৯৫ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারের ক্রেতা সাদ্দাম বলেন, লকডাউনের ভয়ে প্রথম দিকে বেশি দামে মুরগি ও ডিম কিনেছিলাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেখলাম দাম একটু কমেছে। আপাতত স্বস্তি লাগলেও অজানা আতঙ্ক সব সময় কাজ করে। তাই আবার বাজারে এলাম। এখন তো আর প্রতিদিন বাজার করা সম্ভব নয়।
মুরগির পাশাপাশি বাজারগুলোতে গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে।
আরএম/আরএইচ