ইফতারে কদর বাড়ছে বাঙ্গির
বাঙ্গি স্বাস্থ্যকর ফল
তরমুজের পাশাপাশি এবারের রমজানে ইফতারে বাঙ্গির চাহিদা বেড়েছে। গরমে বাঙ্গি খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয় বলে রোজাদারদের পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে ফলটি।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি পিস দেশি বড় বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। মাঝারি সাইজের বাঙ্গির দাম ৭০-৮০ টাকা পিস। আর বাঙ্গির মতো দেখতে চীনাল বা নালিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা পিস।
বিজ্ঞাপন
পাঁচতলা বাজারে নালিম, বাঙ্গি ও বেল বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাঙ্গি মৌসুমি ফল। এবাবের রমজানে প্রতিদিনই এক থেকে দেড়শ বাঙ্গি বিক্রি করছি। বাঙ্গি আগে কখনও এত বিক্রি হতো না। তিনি বলেন, আমার দোকানের বাঙ্গি যে একবার খায়, পরের দিন আরেকবার নিয়া যায়। কোনো কথা বলা দরকার হয় না।
পোস্ট অফিস গলিতে বাঙ্গি, আনারস ও বেল বিক্রি করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি রোজার আগে থেকেই ফলগুলো বিক্রি করি। রোজার শুরুর দিন থেকে আমার দোকানে বাঙ্গি ও বেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ব্যাংক কর্মকর্তা মুহসিন আল আনাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে এবার ইফতারে বাইরের ভাজাপোড়া খাচ্ছি না, ঘরেই করছি। আলুর চপ, চিকেন ফ্লাই, গ্রিল চিকেন ও হালিম ঘরে বানাচ্ছে। এবার শসা, তরমুজ ও কলার পাশাপাশি বাঙ্গি কিনছি ইফতারের জন্য।
পাশেই ক্রেতার অপেক্ষায় থাকা ভাজাপোড়ার দোকানদার রোমন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের কারণে পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনিসহ ভাজাপোড়ার কদর নেই। গত বছর প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকা বিক্রি হতো। এখন ১ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না। এবার আমাদের ব্যবসা মন্দা।
এনামুল হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, বাঙ্গি খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। এটা খেলে শরীর-স্বাস্থ্যের উপকার হবে। আর ভাজাপোড়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সারাদিন রোজা রাখার পর এসব খাবার খাই না।
মধ্যবাড্ডার ফল বিক্রেতা জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজার প্রথম দিন থেকে তরমুজের দাম বেড়েছে। তারপর থেকে বাঙ্গির কাস্টমার বেড়েছে। এতদিন অনেকে এই ফলটি পছন্দ করত না। এখন অর্ডার দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাধারণত ৫ কেজির নিচে ভালো কোনো তরমুজ হয় না। ৫ কেজি পরিমাণের তরমুজরে দাম ২২০-২৪০ টাকা। আর মাত্র ৪০ টাকা দিয়ে একটি নালিম পাওয়া যাচ্ছে। ফলে নালিম কিনছে অনেকেই। আর ১০০ টাকার একটি বাঙ্গি কিনলে ১০-১২ জন খেতে পারেন।
এমআই/এইচকে