পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি-ফ্রি, কোটা-ফ্রি সুবিধার বিদ্যমান কাঠামো আরো সহজ করতে চীনের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

স্থানীয় সময় সোমবার (৩ জুন) বেই‌জিং‌য়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর, বিশেষ করে সফরের তারিখ, দুই দেশের চাওয়া-পাওয়া, সইয়ের জন্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক তৈরি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ নি‌য়ে আলোচনায় হয়েছে।

ঢাকার পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। অন্যদিকে বেইজিংয়ের পক্ষে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) সুন ওয়েডং নেতৃত্ব দেন।

তারা দু্ই দে‌শের ম‌ধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুসংহতকরণ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বৃ‌দ্ধি এবং বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা নি‌য়ে আলোচনা ক‌রে‌ছেন।

পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মেন অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈ‌তিক অবস্থান তু‌লে ধ‌রেন। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন। এছাড়া আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থন চান।

চী‌নের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) বাংলা‌দে‌শে সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন। তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বা‌চিত হওয়ায় শেখ হা‌সিনা‌কে অ‌ভিনন্দন জানান। তি‌নি ব‌লেন, শেখ হা‌সিনার যোগ্য নেতৃ‌ত্বে বাংলা‌দেশ সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ কর‌তে পার‌বে।  

উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) ব্রিকসে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের আগ্রহের প্রশংসা করেন এবং চীনের সক্রিয় সমর্থনের আশ্বাস দেন। তি‌নি উচ্চ পর্যা‌য়ের সফর বি‌নিময় জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ওপর গুরত্ব দেন। বাংলাদেশ থেকে আম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে এবং তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করতে চীনের আগ্রহের কথা জানান তিনি। 

এছাড়া চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আশ্বাসও দেন। আগামী বছর পরবর্তী পররাষ্ট্রস‌চিব পর্যা‌য়ের বৈঠক ঢাকায় করার বিষ‌য়ে উভয়পক্ষ সম্মত হ‌য়ে‌ছে।

বৈঠ‌কে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এনআই/এসএম