টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং সেক্টরের জন্য বিদ্যমান কর্পোরেট ট্যাক্স হারকে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।

তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং সেক্টরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎস কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো ০ দশমিক ৫০ শতাংশে নির্ধারণ করতে হবে। এটি আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখা প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং খাত ডলার সংকট, জ্বালানি সরবরাহ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে না থাকা, সুদের হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনার উপর শনিবার (৮ জুন) বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিকেএমইএ-এর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিটিএমএ সভাপতি খোকন বলেন, বিটিএমএ প্রাইমারি টেক্সটাইল সেক্টরের সংগঠন। আমরা তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাণিজ্য সুসংহত করা, পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন-নতুন বাজার তৈরি ও একই সঙ্গে টেক্সটাইল ও ক্লথিং খাতের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছি। বিটিএমএ এর সদস্য স্পিনিং, উইভিং ও ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলগুলোও দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রয়োজনীয় সুতা ও কাপড় সরবরাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

তিনি বলেন, আমরা টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং খাতের তিনটি অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে বসেছি। আমরা মনে করি, সামনে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে হলে টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং খাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনারা জানেন, দেশে তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট বা বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট ও তা থেকে উৎপাদিত ফাইবার সরবরাহের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়।

তিনি বলেন, আমাদের হিসাব অনুযায়ী এই ঝুট থেকে বছরে ১২০০ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদন করা সম্ভব। সেজন্য এই খাত থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি ।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি ম্যান মেইড ফাইবারের উপর ধার্য করা ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার, ফ্লাক্স ফাইবার উপর থেকে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর থেকে অব্যাহতি, আগের মতো চিলার মেশিনকে ক্যাপিটাল মেশিনারি হিসাবে গণ্য করে ১ শতাংশ হারে আমদানির সুবিধা দেওয়া, টেক্সটাইল শিল্প কারখানায় স্থাপিত ইটিপিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ শূন্য শুল্ক হারে আমদানির সুবিধা দেওয়া এবং  আমদানি করা পণ্যের এইচ.এস কোড ভুল হলে ২০০ শতাংশ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানা করার বিধান প্রত্যাহার করার দাবিও জানান।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

আরএইচটি/জেডএস