২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ হতে যাচ্ছে আগামী ২ জুন। বাজেটে অন্তর্বর্তী সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে নজর থাকলেও, কর হার বাড়ানোর চেয়ে করের আওতা বৃদ্ধিতে লক্ষ্য থাকবে। সেই লক্ষ্যে বেশকিছু প্রস্তাবনা রাখা হচ্ছে আসন্ন বাজেটে।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর, শুল্ক কিংবা মূসক বা ভ্যাট খাতে বেশকিছু পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া সঞ্চয়পত্র, এফডিআরে বিনিয়োগ বিষয়ে শর্ত শিথিল হতে পারে।

বাড়ছে করমুক্ত আয়সীমা

অত্যধিক মূল্যস্ফীতির মধ্যে স্বস্তি দিতে আগামী বাজেটে বাড়ানো হতে পারে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা। আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে করহার। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়ের স্তরভেদে ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। এনবিআর কখনোই টানা করমুক্ত আয়ের সীমা কমায়নি। সাধারণত ২-৩ বছর বিরতিতে আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। ২০২০-২১ সালে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়। সাধারণ করদাতাদের বাইরে নারী করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের করদাতাদের করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা।

ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা হচ্ছে

আগামী বাজেটে ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। ফলে সিটি কর্পোরেশন, পৌর এলাকা ও গ্রাম-সব এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা দু-এক অর্থবছর পরপর বাড়লেও ন্যূনতম করহার বাড়ানো হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে অঞ্চলভেদে ব্যক্তিশ্রেণির ন্যূনতম করহার বাড়ানো হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত একই হারে করদাতারা কর দিয়ে আসছেন। এবার কর বৈষম্য কমিয়ে আনতে সব এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা করা হতে পারে।

বর্তমানে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা, অন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতাদের ৪ হাজার টাকা ও সিটি কর্পোরেশনের বাইরে পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলের করদাতাদের কর ৩ হাজার টাকা বিদ্যমান রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে এনে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বপ্রথম ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে অঞ্চলভিত্তিক করহার চালু করা হয়।

শর্ত শিথিল হচ্ছে কর্পোরেট করে

গত কয়েক বছর ধরেই সরকার ধারাবাহিকভাবে কর্পোরেট কর কমিয়েছে। কিন্তু কর কমানোর সুফল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন সময় তারা দাবি করে আসছেন। বিগত বছরগুলোতে ‘শর্ত সাপেক্ষে’ কর্পোরেট কর কমিয়েছে সরকার। বিরাজমান অস্থিরতা বিবেচনায় ও ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শর্ত শিথিল হতে পারে। যদিও আপাতত কর্পোরেট কর কমানো হবে না বলে জানা গেছে।

ব্যক্তিশ্রেণি-কোম্পানির অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক হতে পারে

আয়কর বিভাগ সূত্রমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অনলাইন রিটার্ন দাখিলে সাড়া পেয়েছে এনবিআর। সেজন্য সরকারি চাকরিজীবীসহ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। প্রায় ১৬ লাখ ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আসন্ন বাজেটে অনলাইন রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থা আরো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যার ফলে ব্যক্তিশ্রেণির পাশাপাশি কোম্পানি করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

করমুক্ত ২০০ আমদানি পণ্যে অগ্রিম কর বসছে

করমুক্ত প্রায় ২০০টি পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) আরোপ হতে পারে প্রস্তাবিত বাজেটে। ধাপে ধাপে করছাড় তুলে নেওয়া এবং কর পরিপালন বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে আসন্ন বাজেটে। যার মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন করের আওতার মধ্যে আসবে পোশাক শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল যেমন তুলা এবং মানবসৃষ্ট তন্তু, আলু, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন ও ভুট্টার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য। সার, অপরিশোধিত তেল, চিনি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া কম্পিউটার প্রিন্টার, রাউটার, মডেম, বিমান ইঞ্জিন ও বাসসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স, শিল্পের যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, শিল্প রাসায়নিক, বিমান, বাস, আমদানি করা মাছ ও মাংস, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস এবং প্রিন্টার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

সঞ্চয়পত্র, এফডিআরে বিনিয়োগ, ভূমি নিবন্ধন ও পেশাজীবীদের পিএসআর লাগবে না

সঞ্চয়ী হতে আরো উৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারী ও এফডিআরে বিনিয়োগকারীদের ‘আয়কর রিটার্ন দাখিলের’ শর্ত বা পিএসআর জমার বাধ্যবাধকতার শর্ত শিথিল করতে পারে এনবিআর। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এই শর্ত শিথিল করা হতে পারে। পিএসআরের পরিবর্তে ই-টিআইএন এর কপি দিলেই হবে। এছাড়া কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যপদ নেওয়ার ক্ষেত্রেও পিএসআর এর শর্ত শিথিল করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

ভূমি নিবন্ধনে কর কমছে

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আসন্ন বাজেটে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাঠার পরিবর্তে শতাংশে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণ করা হবে। ভূমি নিবন্ধনে অগ্রিম কর কিছুটা কমানো হতে পারে। এর ফলে ভূমি বা সম্পত্তি নিবন্ধনে কর কমবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। গত অর্থবছর ভূমি নিবন্ধন থেকে এনবিআর প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার কর পেয়েছে।

পুঁজিবাজারে বিশেষ সুবিধা

পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের উপর উৎসে কর কমানো হতে পারে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রোকারেজ হাউজের মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে এই কর কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা খুব বেশি না হলেও কিছুটা লাভবান হবেন। এ ছাড়া নতুন নতুন কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে শর্ত যেমন সহজ করা হবে, তেমনি কর ছাড়ও দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

বাড়ছে টার্নওভার কর

বর্তমানে বছরে তিন কোটি টাকার বেশি টার্নওভার হলে ওই প্রতিষ্ঠানকে দশমিক ৬ শতাংশ কর দিতে হয়। এটি আসন্ন বাজেটে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হতে পারে বলে জানা গেছে। বর্তমানে কোম্পানি ও ব্যক্তিগত টার্নওভারে ন্যূনতম কর থেকে সরকার প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। প্রস্তাবিত এই হার বাড়লে অতিরিক্ত আরও ৩,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৮ হাজার কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি রিটার্ন দাখিল করেছে। বর্তমানে পাঁচ ধরনের ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতার ওপর ০.২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ন্যূনতম কর হার রয়েছে। এরমধ্যে কার্বোনেটেড বেভারেজ কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে, তামাক কোম্পানির ওপর ৩ শতাংশ হারে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের ২ শতাংশ, এবং ০.২৫ শতাংশ হলো সেইসব ব্যক্তি করদাতার জন্য— যাদের বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকা অতিক্রম করে। বাকি কোম্পানির ০.৬০ শতাংশ এবং রপ্তানিকারকদের ১ শতাংশ ন্যূনতম কর দিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা শতাধিক পণ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক কমানোর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ১০০ ধরনের আমদানি পণ্যের শুল্ক কমাতে যাচ্ছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলত বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, অস্ত্র, ফাইটার বিমানের পার্টস, মিসাইলসহ ১৫-১৬টি পণ্য কেনে। অস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান, মিসাইল জাতীয় পণ্য সরকার কিনলে তখন চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকে। ফলে রাজস্ব হারানোর শঙ্কা থাকে না বলে মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমাতে বাংলাদেশ আগে থেকে ১৯০ ধরনের পণ্যের শুল্কহার শূন্য রেখেছে। এবার আরো ১০০ ধরনের পণ্য সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

এসি-ফ্রিজ-মোবাইল ফোনে ভ্যাট বাড়ছে

মাত্র ছয় মাস আগে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারকদের ওপর কর্পোরেট কর দ্বিগুণ করার পর, এবার তাদের পণ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। ফলে দেশীয় উৎপাদনকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিতে পারে। বর্তমানে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। তবে এনবিআর আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর তা ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে। একইভাবে, মোবাইল ফোন তৈরিতে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নির্ভর করে ৫ ও সাড়ে ৭ শতাংশ হারে যে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে, তা বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ করারও প্রস্তাব করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাটারি তৈরির ওপরও কর্পোরেট কর বিদ্যমান সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হতে পারে।

ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন

বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। শুল্ক ছাড়াই বছরে একাধিকবার স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে সেটি সীমিত করা হচ্ছে বছরে মাত্র একবার। একইসঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান নিয়মে একজন যাত্রী বছরে যতবার খুশি ততবার শুল্ক ছাড়াই ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার বা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকার আনতে পারেন। এ ছাড়া শুল্ক দিয়ে ১১৭ গ্রাম বা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনার সুযোগ রয়েছে, যার জন্য প্রতি ভরিতে দিতে হয় চার হাজার টাকা শুল্ক। নতুন প্রস্তাবনায় এ সুযোগ সীমিত করে বছরে একবার করা হচ্ছে।

বর্তমানে স্থলবন্দর দিয়ে বছরে তিনবার সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত পণ্য আনার সুযোগ থাকলেও তা কমিয়ে একবার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউ-ব্যাগেজ (যাত্রীর সঙ্গে না থাকা লাগেজ) ব্যবস্থায় ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ১০০ কেজি এবং ১২ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৪০ কেজি পর্যন্ত পণ্য আনার সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে।

কৃষিভিত্তিক খাতে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার

কর অব্যাহতি প্রথা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসন্ন বাজেটে বহুল আলোচিত মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতের বিদ্যমান আয়কর সুবিধা বাতিল করার ঘোষণা আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে এসব খাত থেকে আয় করলে তার ওপর ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। তবে আগামী বাজেটে এসব খাতের আয়ের ওপর নিয়মিত হারে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হতে পারে। যার আওতায় আসবে হাঁস-মুরগি ও চিংড়ি হ্যাচারির আয়, পোলট্রির পেলেটেড ফিড উৎপাদন, গবাদিপশু, চিংড়ি ও মাছের পেলেটেড ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন ও বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, হর্টিকালচার, তুঁত চাষ, মৌমাছি চাষ প্রকল্প, রেশম গুটিপোকার খামার, মাশরুম খামার এবং ফ্লোরিকালচারের আয়।

বর্তমানে এসব খাত থেকে বার্ষিক আয় হলে প্রথম ১০ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ১০ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অথচ এর বিপরীতে, ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার বর্তমানে ৩০ শতাংশ এবং অধিকাংশ কোম্পানিকে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। মূলত দেশের মৎস্য, পোলট্রি ও গবাদিপশু খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এসব খাতে বাড়তি সুবিধা ছিল।

প্রসঙ্গত, আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের মূল আকার কমছে এমন ধারণা স্পষ্ট বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে।

আরএম/জেডএস