রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নিতে সময় প্রয়োজন : গভর্নর
আগামী মাসে রিজার্ভ ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, এই রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার জন্য সময় প্রয়োজন।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত “বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়নের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক প্রবণতা” শীর্ষক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আহসান এইচ মনসুর বলেন, সবাইকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে কার্যকর সংস্কার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক সেবা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এই গবেষণা সেইসব অঞ্চল চিহ্নিত করেছে যেখানে আর্থিক সেবা এখনও অসম। আমাদের এখন নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনো জেলা বা সম্প্রদায় পিছিয়ে না থাকে।
বিজ্ঞাপন
পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার বলেন, এই গবেষণা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নের একটি স্থানিক ও কালানুক্রমিক চিত্র উপস্থাপন করেছে, যা জাতীয় গড়ের আড়ালে থাকা গভীর আর্থিক বৈষম্যকে স্পষ্টভাবে উন্মোচন করেছে। আমাদের বুঝতে হবে, প্রকৃত অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক উন্নয়নের জন্য প্রথমেই চিহ্নিত করতে হবে দেশের কোনো কোনো অঞ্চল ও জনগোষ্ঠী মূলধারার ব্যাংকিং সেবা থেকে বাদ পড়ে আছে।
আরও পড়ুন
পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান মূল তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্লেষণে আর্থিক প্রবেশগম্যতার চরম বৈষম্য ফুটে উঠেছে-জাতীয়ভাবে মাত্র ১ শতাংশ ঋণ হিসাবধারী সমস্ত ঋণের ৭৫ শতাংশ পাচ্ছে এবং ৭৮ শতাংশ ঋণ ঢাকা ও চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত। দশকব্যাপী ব্যাংক সম্প্রসারণ সত্ত্বেও, বেসরকারি ব্যাংকগুলো ধনী পূর্বাঞ্চলে ঘনীভূত রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা দেশের দরিদ্র অঞ্চলে পৌঁছাচ্ছে না বা সেবা দিচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে, পরিস্থিতিগত প্রমাণ থেকে বোঝা যায় যে বেসরকারি ব্যাংকগুলো গরিবদের জন্য ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে না।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকদের মধ্যে ছিলেন আইজিসির বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (পরিসংখ্যান) মো. আনিস উর রহমান।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে পিআরআই, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)।
এমএইচএন/এসএম