গতকাল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীতে চলছে বৃষ্টি। গতকাল সারাদিন আজ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। দুই দিনের বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে। বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা কম। এ সময় বাজারে সবজির দামের ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা থাকলেও দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সরবরাহে ঘাটতি না থাকায় প্রায় সব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে রাজধানীর শাহজাদপুর কাঁচাবাজার, উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার, ও মধ্য বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। আবার বাজারে অনেক দোকান বন্ধ দেখা গেছে। তবে বিকেলের দিকে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তখন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে পারে।

খুচরা বাজারে সর্বশেষ সবজির দাম অনুযায়ী, প্রতি কেজি ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও প্রতি পিস জালি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিটি আটি লালশাক ১৫ টাকা ও প্রতিটি আটি ডাটা ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি গত সপ্তাহ একই দামে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈরী আবহাওয়াতে সবজি সরবরাহ নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতে বৃষ্টিপাত কেমন না থাকায় পাইকারি বাজারগুলোতে সবজি খুচরা বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে সহজে। সেজন্য  সরবরাহতে তেমন একটা সমস্যা হয়নি। তবে প্রান্তিক অঞ্চল থেকে সবজি কম এসেছে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা দিদারুল হোসেন বলেন, রাতে সবজি ভালই এসেছে। তাই বাজারে সবজির তেমন একটা ঘাটতি নাই।

উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের বিক্রেতা মঞ্জু মিয়া বলেন, সবজির কোনো দাম বাড়ে নাই বৃষ্টির কারণে। গত সপ্তাহে যে দামে বিক্রি করছি আজকেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেকে দোকান খুলে নাই আবার অনেকেই বাজারে আসে নাই। 

বৈরী আবহাওয়ায় শুক্রবার ছুটির দিনের সকালে রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় বাজার করতে আসা ক্রেতা মো. ফারুক বলেন, দাম ঠিকই আছে বাজারে সবজির গতবার সপ্তাহের মতোই। কিন্তু বৃষ্টির হওয়াতে বাজারে কিছু সবজির পরিমাণ কম দেখা গেছে।

এমএসি/এআইএস