শক্তিশালী ও টেকসই অর্থনীতির জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিজ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও কর্মোপযোগী শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা এবং যুবদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তি দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেও প্রত্যাশা জানানো হয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিতে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্টের হার ১৯ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ২০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে মহিলা পলিটেকনিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জেলা পর্যায়ে পলিটেকনিক এবং উপজেলা পর্যায়ে টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। 

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে ১ হাজার ১৩৫টি মাদরাসা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫১৩টি বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ৪৯৩টি মাদরাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, ইবতেদায়ী পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান এবং মাদরাসাগুলোর এমপিওভুক্তি বাবদ ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। 

তিনি আরও জানান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা। 

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আয়-ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা। বাজেট উপস্থাপন করা হলেও সংসদ ভেঙে থাকার কারণে কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেবে এবং সেগুলো বিবেচনায় রেখে বাজেট চূড়ান্ত করা হবে। 

চূড়ান্তকরণের পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। সভার সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে অনুমোদন মিললে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে ১ জুলাই থেকে বাজেট কার্যকর করবেন। 

আরএইচটি/এমএন