৯৬ শতাংশ কারখানা ঈদ বোনাস দিয়েছে, ঝুঁকিতে ১১টি
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের গার্মেন্টস শিল্পের বেতন ও বোনাস পরিশোধ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সারাদেশে ৯৬ শতাংশ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। তবে বেতন-বোনাস সংক্রান্ত বিষয়ে ২৪৫টি কারখানায় সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১১টি কারখানা রয়েছে সরাসরি ঝুঁকিতে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রকাশিত সরকারি কারখানা পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকা অঞ্চলে ১ হাজার ৭৫০টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৪২টি চালু গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। মোট চালু কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ৯২টি। এদের মধ্যে মে মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ১ হাজার ২১৮টি প্রতিষ্ঠান, যা ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ। অপরদিকে, বেতন এখনও পরিশোধ হয়নি ৮৭৪টি কারখানায়, যা মোটের ৪১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
তবে ঈদের বোনাস পরিশোধে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ঢাকা অঞ্চলের ১ হাজার ৭০১টি এবং চট্টগ্রামের ৩০৭টি কারখানা মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৮টি প্রতিষ্ঠান ঈদের বোনাস পরিশোধ করেছে, যা শতকরা হিসাবে ৯৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বোনাস এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৮৪টি কারখানায়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া, এপ্রিল মাসের বেতন প্রায় পুরোপুরি পরিশোধ হয়েছে। ঢাকায় শতকরা ৯৯ দশমিক ৫৪ এবং চট্টগ্রামে ৯৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ কারখানা এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করেছে।
পরিদর্শন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিজিএমইএ এর দেওয়া তথ্যে ভিত্তি করে ২৪৫টি গার্মেন্টস কারখানাকে সম্ভাব্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকায় রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে বেশি ঝুঁকিতে থাকা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কারখানার তালিকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বিজিএমইএকে জানানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
ঝুঁকিতে থাকা ১১টি কারখানার মধ্যে রয়েছে — সাভারের হেমায়েতপুরের বসুন্ধরা গার্মেন্টস, গাজীপুরের টঙ্গি ও পুবাইলে অবস্থিত সিজনস ড্রেসেস লিমিটেড ও হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, গাজীপুরের কোনাবাড়ীর হাগ নাইটওয়্যার লিমিটেড, টঙ্গির তারাটেক্স ফ্যাশন লিমিটেড, ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়ার সসেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, সাভারের কার্ণাপাড়ার এইচ.আর. টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, মিরপুরের রূপনগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার যমুনা ফ্যাশন ওয়্যারস লিমিটেড, আশুলিয়ার জিরাবোর গ্লোরিয়াস সান ফ্যাশন গার্মেন্টস লিমিটেড, সাভারের নরশিংহপুরের আজমুন ডিজাইনার্স লিমিটেড এবং কুতুরিয়ার জেডএ অ্যাপারেলস লিমিটেড।
এমন অবস্থায়, ঈদুল আজহার আগেই পোশাক কারখানাগুলোতে বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি ও বিজিএমইএর পরিদর্শন ও তদারকি বাড়ানো হয়েছে বলেও সংশ্লষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরএইচটি/জেডএস