‘আন্দোলনে বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন করে থাকলে ভিন্নভাবে দেখা হবে’
এনবিআরের আন্দোলনে কেউ যদি বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন করে থাকেন, তাদের বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সোমবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা কাস্টমস কার্যালয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আস্থার সংকট নিরসনে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সেজন্য আজ কর্মকর্তাদের কাছে চলে আসলাম। তাদের অভয় দেওয়ার জন্য। প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তাদের যে কাজ কর্ম সেগুলো যদি তারা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন, তাহলে আমি মনে করি না তাদের ভয়ের কোনো কারণ আছে। কেউ কেউ বড় আকারের সীমা লঙ্ঘন করেছে। সেটা হয়তো ভিন্ন ভাবে দেখা হবে। তবে সাধারণভাবে আমার মনে হয় না কারো কোনো ভয়ের কারণ আছে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
এ ধরনের আতঙ্ক চলতে থাকলে রাজস্ব আহরণে কোনো রকমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো চলতে থাকবে না। রাজস্ব বিভাগে যারা কর্মরত আছেন তারাই রাজস্ব আদায় করবেন। এটা তাদের কাজ এত ঝামেলার মধ্যেও তারা রাজস্ব আদায় করেছে। আপনারা যে ভয়গুলো পাচ্ছেন রাজস্ব আদায় হবে না, আতঙ্ক কাজ করছে, এগুলো কেটে যাবে।
আন্দোলনের কারণে যে আর্থিক ক্ষতি সেটা পুষিয়ে আনার ক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা ছিল সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রত্যেকে আমরা চেষ্টা করবো এটাকে কাভার করার জন্য।
গত ৩০ জুন আপনি শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আশ্বাস দিয়েছিলেন। দুদিন পর কয়েকটা আদেশ এসেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু বিষয় আছে সেগুলো সরকারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটা আপনাদের বুঝতে হবে।
আন্দোলনে কি মাত্র ৫ জন সম্পৃক্ত ছিল? প্রশ্ন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। জবাব আসে আরও অনেক উপস্থিত ছিলেন।
তাহলে আমি যেটা আশ্বাস দিয়েছি সেটা তো ঠিকই আছে। যদি তাই হত, আমরা যদি ওরকম, তাহলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হত। সে রকম কিছুতো হয়নি, যোগ করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটা আদায় হয়েছে। এটা আরও বাড়বে। আমাদের বুক এডজাস্টমেন্টগুলো নরমালি এক দুই সপ্তাহ সময় লেগে যায় সরকারি প্রকল্পে। তাতে আমার ধারণা এটা আরও বাড়বে।
এরআগে এনবিআর চেয়ারম্যান বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টমস হাউস পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এ চালান, ব্যাগেজ রুলস ও ডিটেনশন ম্যামো এই তিনটা সফটওয়্যার আজকে উদ্বোধন করলাম এখানে।
নতুন বছরে আমরা নতুন উদ্যোমে কাজ করবো জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি কাস্টমস হাউজ ও শুল্ক স্টেশন গুলো আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আমি কর্মকর্তাদের বলেছি এখানে যেন ব্যবসায়ীরা বিড়ম্বনার স্বীকার না হন। আমাদের সবার উপরে দেশ। প্রত্যেকে রাষ্ট্র স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবো।
আরএম/এআইএস