গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন তিনি।

সেমিনারে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস সংক্রান্ত যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলো গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি দৌলত আক্তার মালা। 

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যেটা করেছি, আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে যে সমজাতীয় অন্যরা যে সুবিধা পায়, সেটাই আমরা দিয়েছি। এটা নিয়ে আর আপাতত না বলি। আর এখানে কোনো আলাদা করে কোনো ট্রিটমেন্ট দেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের ছিল না বা করিও নাই।

সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সব ধরনের আয়ের ওপর কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইন্টারেস্ট আয়ের ওপরও এ অব্যাহতি রয়েছে।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি দেওয়া হয় গত বছরের অক্টোবরে। একই শর্তে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত দানকৃত আয় থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে।

সেই সময়ে এ বিষয়ে আলাদা গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সেখানে বলা হয়েছে, করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় নিয়ম পরিপালন করে তবেই এ সুবিধা পাওয়া যাবে।

১৯৮৩ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সময়ই কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছে গ্রামীণ ব্যাংক। এই সুযোগ প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের ৩৩ ধারার আওতায়। 

২০১৩ সালে অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা হলেও ওই ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। 

আরএম/জেডএস