দুদক কর্মকর্তার ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি, কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির জন্য খুলনার এক ঠিকাদারের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আবুল হাশেম স্থানীয় ঠিকাদার এস আর ট্রেডার্সের মালিক মো. শহিদুল ইসলামের কাছে এ ঘুষ দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে শহিদুল অভিযোগ দাখিল করলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম তাকে খুলনার বাসায় ডেকে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের বিভিন্ন অভিযোগের কথা জানান। একইসঙ্গে এসব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ৫ লাখ টাকা দিয়ে আপস করতে রাজি হন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে শহিদুল ইসলাম দুদকের ওই কর্মকর্তাকে মোবাইলে কল দেন। মোবাইলে দুদক কর্মকর্তা আবুল হাশেম টাকা নিয়ে তাকে খুলনায় যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
অন্যদিকে এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের অসৎ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্তমান কমিশন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে পাঁচজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরএম/এসএসএইচ