‘রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় খাত পাবে নীতি সহায়তা’
রপ্তানিমুখী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় সব খাতে আর্থিক এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সাক্ষাৎকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। এসময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, ডিসিসিআই মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং সচিব জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, যার আলোকে বাজারে নিজেদের রপ্তানি পণ্যের স্থান ধরে রাখা এবং নতুন বাজার সম্প্রসারণের জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ আবশ্যক। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। দেশের রপ্তানিমুখী পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় সব খাতকে সর্বাত্মাক সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের এসএমই খাত অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি, যারা জিডিপিতে প্রায় ২৬ শতাংশ অবদান রাখে এবং এ খাতের বিকাশে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এলডিসি উত্তর সময়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং একই সঙ্গে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ-বাজার সম্প্রসারণে পোশাক খাতের মতো সম্ভাবনাময় রপ্তানিমুখী পণ্যের জন্য আর্থিক এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দরকার। তিনি ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, কোম্পানি আইনের আওতায়, একক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মূলধনের পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা ও বিক্রয়সীমা ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের আরও নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে এ সীমা পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানান। তিনি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সার্বিক উন্নয়নে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।
রিজওয়ান রাহমান বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, তবে এর আওতায় প্রাপ্ত ঋণ সুবিধা ফেরতের সীমা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কমপক্ষে একবছর বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেসরকারিখাত দেশের রপ্তানি এবং বিনিয়োগ অনেকাংশে বাড়াতে সক্ষম হবে।
এসআই/এসএম