ইএফডির আওতায় রাজধানীর ১০৫১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৫১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ও এসডিসি মেশিন বসানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এনবিআর থেকে পাওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ইএফডি হলো আধুনিক হিসাবযন্ত্র। এটি ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টারের (ইসিআর) উন্নত সংস্করণ। এ যন্ত্র বসানো হলে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত লেনদেন বা বিক্রির তথ্য জানতে পারবে এনবিআর। এর মধ্যে কত অংশ ভ্যাট তা জানা যাবে। ফলে ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ হবে এবং আদায় বাড়বে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দৈনিক লেনদেনের তথ্য তদারকিতে রাজস্ব বোর্ডের সার্ভারের সঙ্গে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে ইএফডি মেশিন। সার্ভার ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ডিজিটাল পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইএফডির উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে ১০০ মেশিন বসানো হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ৮০টি এবং চট্টগ্রামে ২০টি ইএফডি স্থাপন হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষেয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাটের অনিয়ম বন্ধ করতেই ইএফডি চালু করা হচ্ছে। ইএফডি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এর ফলে কথিত হয়রানি দূর হবে ও রাজস্ব আহরণের ব্যয় ও ব্যবসায়িক খরচ কমবে। কর পরিহারের সুযোগ থাকবেন না। রাজস্ব আদায়ে গতি আসার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অটোমেশনের আওতায় আসবে। আগামী জুনের মধ্যে এক লাখ ইএফডি মেশিন বসানো হবে।
মূলত হোটেল, রেস্তোরাঁ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ সেবা খাতের লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে ভ্যাটের হালনাগাদ তথ্য পেতে ইএফডি মেশিন বসানো হচ্ছে। ২৫ সেবা খাতে ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের এ মেশিন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রথম পর্যায়ে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। শুরুতে এটি ব্যবহারে তাদের অভ্যস্ত করার চেষ্টা করা হবে। পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে।
এনবিআর গত অর্থবছর ইএফডি চালুর প্রক্রিয়া শুরু করে। এর আগে ২০০৮ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ইসিআর মেশিন ব্যবহার করা হয়। তবে তা সফল হয়নি। এরপর ইএফডি মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ চলছে। এক লাখ মেশিন কেনার নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয় ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠকে।
আরএম/এইচকে