মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের ছবি

ভরা মৌসুমে ফুলকপি-কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়লেও অনেকটা স্থিতিশীল শীতকালীন সবজির বাজার। তবে চাল, ডাল, ডিম এবং মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফলে বাজার করতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। আর বেচা-কেনা কম হওয়া বিপাকে ব্যবসায়ীরাও। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজার, ৫ তলা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে রোববার (২৪ জানুয়ারি) বড় আকারে যে ফুল কপি ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো, সোমবার তা বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা দরে। বড় বাঁধাকপি (৩-৪ কেজি) বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা দরে। নতুন সাদা আলু প্রতিকেজি ১৮-২০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে।

বাজারে কাঁচামরিচ ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে। অথচ গতকাল এর দাম ছিলো ৬০-৭০ টাকা। প্রতিকেজি শশা-খিরা ৩০ টাকা, টমেটো ২০-২৫ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, মূলা-শালগম ১০ টাকা করে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বরবটি ৫০ টাকা, লতি ৪০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২৫ টাকা এবং শিম ২০ থেকে ২৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পিস।

ফুলকপি আমদানি কমায় প্রতি পিসে ২-৩ টাকা বেড়েছে দাবি করেন ৫ তলা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নাজমুল হক। তিনি বলেন, ফুলকপি আমদানি কমায় আজ বট সাইজের প্রতিপিস কপি ১৫-১৭ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা দরে।

এদিকে, সবজির দাম কম মানতে নারাজ ক্রেতা রাহাত খান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন সবজির ভরা মৌসুম। কিন্তু সে হিসেবে কি দাম কম? আলু, পটল, বরবটি এবং লাউ কোনো সবজির দাম এখনো ৩০ টাকার নিচে নেই।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল এবং তেলের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। বাজারগুলোতে ভালো মানের চিকন চাল অর্থাৎ মিনিকেট চাল ৬৩-৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাইজম এবং ২৮ মোটা চালও বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা দরে। সর্বনিম্ন মোটা গুটি চাল প্রতিকেজি ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রোববারের বাজারে চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা কেজি। আর মোট ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে নতুন পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, বিদেশি পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১২০ টাকা আদার বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে।

মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের চাল ‍ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, চিকন চালের দাম এখনো বাড়তি। তবে আজকে পাইজম এবং বিআরবি-২৮ নম্বর চাল কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে।

চালের পাশাপাশি সয়াবিন তেলের দামের ব্যাপক উত্থান হয়েছে। ক্রেতা রোপক আরমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি লিটার তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। আর ১৫ দিন আগেও ২ লিটার সয়াবিন ১৭০ টাকায় কিনেছি।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়- মুরগির মাংসের দাম কিছুটা বাড়িত। বয়লার কেজিপ্রতি ১৩৫ টাকা, কর্ক ১৪৫-১৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে গরুর মাংস ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৮০০-৯০০ টাকা, পাঙাশ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে রুই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪৫-২০০ টাকা, বড় কার্প ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ি, শিং এবং মাগুর মাছ ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এমআই/এমএইচএস