সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম /ছবি-ঢাকা পোস্ট

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে আছে ৩০ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ৪১ হাজার ২২৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আদায় করতে সক্ষম হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। 

যদিও প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার ৪.১০ শতাংশ। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল এক লাখ ছয় হাজার ৮৮ টাকা। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকালে আমাদের আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট এই তিন বিভাগ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। গত অর্থবছরে স্বাভাবিক পরিবেশ ছিল। তারপরও করোনা মহামারির মধ্যে এমন প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। আশা করছি ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি আরও ভালো হবে।

এর আগে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৩.১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে ৮৭ হাজার ৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়। নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ভ্যাট খাত থেকে। এ খাতে আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৪৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর শতাংশ হিসেবে সাফল্য দেখিয়েছে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাতে। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬.২৪ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ খাতে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ৭১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। 

অন্যদিকে নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর খাতে ২৫ হাজার ৯৩৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময় এই খাতে আদায় হয়েছিল ২৪ হাজার ৮৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.২২ শতাংশ।

এর মধ্যে শুধু ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক খাতে যথাক্রমে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ১৯৪ কোটি আট লাখ টাকা, আট হাজার ৩১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার ৯৪৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে মোট ১৮ হাজার ৯৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১.৯৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের নভেম্বরে তিন সেক্টরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে এক লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ও আমদানি শুল্ক থেকে ৯৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়।

আরএম/ওএফ