মেঘনা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বনিবনার জেরে পদত্যাগ করেছেন মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী আহ্সান খলিল।
তিনি গত বছরের এপ্রিল মাসে তিন বছরের জন্য এমডি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১৫ মাসের মাথায় তিনি আজ রোববার (২৭ জুলাই) পদত্যাগপত্র জমা দেন। সূত্র জানিয়েছে, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকেও পদত্যাগপত্রের অনুলিপি পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কাজী আহ্সান খলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন পরিচালনা পর্ষদ আমাকে কোনো পূর্ববর্তী কারণ না জানিয়ে হঠাৎ করে ছুটিতে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। আমি সে সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারিনি। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি যেহেতু তারা বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে। তাই তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। আর যদি বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তদন্ত করে, তাহলে আরও অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
কাজী আহ্সান খলিলের ৩৫ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মেঘনা ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবি ব্যাংকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান ব্যবসায় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা মেঘনা ব্যাংকের এমডির পদত্যাগপত্র পেয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক মেঘনা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। এরপর নতুন করে শেয়ারধারী পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এন আশিকুর রহমান। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের হাতে ছিল ব্যাংকের বেশির ভাগ শেয়ার।
নতুন পরিচালনা পর্ষদে শেয়ারধারী পরিচালক হিসেবে উজমা চৌধুরী ও তানভীর আহমেদ এবং স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মামুনুল হক ও রজব আলী, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি নজরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত এমডি হাবিবুর রহমান ও হিসাববিদ আলি আকতার রিজভীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে পর্ষদ সভায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় উজমা চৌধুরীকে। তিনি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক।
এমডির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান উজমা চৌধুরীকে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এসআই/এসএসএইচ