চেক দিয়ে শেয়ার কেনার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কমিশন
চেক দিয়ে শেয়ার কেনায় যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তা তুলে নিয়েছে। তবে এর জন্য কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
এ জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত সার্কুলারে এই সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মাসের শুরুর দিকে চেক দিয়ে শেয়ার কেনায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বিএসইসি।
বিজ্ঞাপন
তারপর পুঁজিবাজারের লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকা থেকে নেমে ১ হাজার কোটি টাকার নিচে চলে আসে। বাজারে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এমন অবস্থায় চেক নগদায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনাটি প্রত্যাহারের জন্য বিএসইসির কাছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) আবেদন জানায়। এই আবেদেনের প্রেক্ষিতে কমিশন চেকের বিপরীতে শর্তসাপেক্ষে শেয়ার কেনার সুযোগ দিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিনিয়োগকারীরা ব্রোকার হাউজে চেক, পে অর্ডার কিংবা ডিমান্ড ড্রাফট জমা দিয়ে শেয়ার কিনতে পারবে।
বিএসইসির সংশোধিত সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারী ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চেক নগদায়ন ছাড়া শেয়ার কেনা-বেচা করা যাবে না এই নিদের্শনা সংশোধন করা হয়েছে। এখন থেকে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিনিয়োগকারীদের থেকে চেক, পে অর্ডার ডিমান্ড ড্রাফট বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা পেলে, সেই টাকা নগদায়নের আগে লেনদেন করতে পারবে। এক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তপালন করতে হবে।
শর্তগুলো হচ্ছে- ১. বিনিয়োগকারীর জমা দেয়া চেক যদি ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক সেদিন বা পরের কর্মদিবসে ব্যাংকে জমা না দেয়, তাহলে পরের এক বছরের জন্য আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীর সুযোগ-সুবিধা হারাবে তারা।
২. সেই চেক যদি বাউন্স করে, অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবে যদি সমপরিমাণ টাকা পাওয়া না যায়, তখন ব্রোকারেজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের হিসাব থেকে সে টাকা দিতে হবে। সেটিও যদি না হয়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান আইপিওতে এক বছরের জন্য সব সুবিধা হারাবে।
৩. যে গ্রাহকের চেক বাউন্স করবে, তিনি পরের এক বছর পুঁজিবাজারে আর লেনদেন করতে পারবেন না।
৪. প্রত্যেক স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ডিজঅনার চেকের তালিকা মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বিএসইসিকে পাঠাতে হবে।
এছাড়া নির্দেশনায় ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের দুই ধরনের করণীয় উল্লেখ করা হয়। এগুলো মধ্যে একটি হচ্ছে- গ্রাহককে অনলাইনে টানা স্থানান্তরে উৎসাহ দেবে প্রতিষ্ঠানগুলো। অপরটি হচ্ছে- এই শর্ত ও করণীয়গুলো বাস্তবায়ন করতে ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ এবং মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
এমআই/এনএফ