ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড বন্ড ইস্যু করে ৪শ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটিকে বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একটি ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে ৪শ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হলো।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিএসইসির ৭৫৪তম কমিশন সভায় বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটির বন্ড অনুমোদন দেওয়া হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেডকে বন্ড ইস্যু করে ৪শ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। তাতে বলা হয়, ইউসিবি ব্যাংকের বন্ডটি হবে মেয়াদহীন। অর্থাৎ এটির কোনো মেয়াদ থাবে না। এই বন্ডের অন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- আনসিকিউরিড, কন্ডিশনাল-কনভার্টেবল ও ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। অর্থাৎ এই বন্ডের বিপরীতে কোনো জামানত রাখা নেই, এটি শর্তসাপেক্ষে শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য নয়। তার ঠিক এক সপ্তাহ পর এবার ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডকে বন্ড ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিল কমিশন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডকে ৪০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, কন্টিজেন্ট-কনভার্টেবল, ফ্লোটিং রেট,পার্পেচ্যুয়াল বন্ডের প্রস্তাব সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। এ বন্ডটি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট, স্বায়ত্তশাসিত করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানির এডিশনাল টায়ার- ২ ক্যাপিটাল বেজ শক্তিশালী করবে। এই বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এবং ম্যান্ডেড লীড অ্যারেঞ্জার হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাজ করছে।
এদিকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটির কোম্পানি পর্ষদ। সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে অর্থাৎ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০৪ পয়সা। আলোচিত বছরে এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর একক ইপিএস ছিল ৩ টাকা ০৯ পয়সা।
এমআই/টিএম