শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ (নগদ ও বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসি) লিমিটেড।

জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পর্ষদ। 

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২২ সালে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। তাতে বিদায়ী বছরে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৬৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ৫১২ টাকা।

তার মধ্য থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ (৫ শতাংশ নগদ ও ৫ বোনাস শেয়ার) লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পর্ষদ। তাতে ৫ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন মোট ৫২ কোটি ৮৭ লাখ ৭২ হাজার ৯০২ টাকা নগদ মুনাফা। আর বাকি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেবে। কোম্পানির মূলধন বাড়াতে এই বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। তবে সেজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।

এর আগের বছর ২০২১ সালে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা। সেই বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ, আর ৪ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি।

বিদায়ী বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে ১০ আগস্ট। ওইদিন ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানির এজিএম দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৮ জুন।

২০০০ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২৩ টাকা ৮৭ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ২১ টাকা ৯৯ পয়সা। ব্যাংকটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১০৫ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫টি। রোববার সর্বশেষ ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সায়।

এমআই/জেডএস